ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (হার্ডকভার) - প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (হার্ডকভার) – প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী

বই পর্যালোচনা: “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (হার্ডকভার)” – প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী

আজকের দুনিয়ায় ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (ইমোশনাল বুদ্ধিমত্তা) বা আবেগগত বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী রচিত “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” বইটি আবেগের সাথে যুক্ত আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সামাজিক আচরণ, সম্পর্ক এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে গভীর আলোচনা করে। বইটি আবেগগত বুদ্ধিমত্তার ধারণা, এর গুরুত্ব এবং এটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, সেই সম্পর্কে অত্যন্ত স্পষ্ট ও সহজ ভাষায় আলোচনা করেছে।

বইটির বৈশিষ্ট্য:

এই বইটি ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা EI নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে, যা কেবলমাত্র মানুষের আবেগকে বোঝার ক্ষমতা নয়, বরং সেই আবেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকেও চিত্রিত করে। বইটি মূলত আবেগের পরিচয়, এর ধরন, কীভাবে এটি আমাদের চিন্তা এবং আচরণকে প্রভাবিত করে, এবং কীভাবে আমরা আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, এসব নিয়ে আলোচনা করেছে। এছাড়া, বিভিন্ন সামাজিক এবং পেশাগত পরিস্থিতিতে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার ও প্রভাবও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বইয়ের বিষয়বস্তু:

বইটির প্রধান লক্ষ্য হল পাঠকদের আবেগ এবং অনুভূতির প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করা। এটি প্রথমে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্ব এবং আবেগের মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শুরু করে। তারপর, লেখক বিভিন্ন দক্ষতা এবং কৌশলের মাধ্যমে দেখান কীভাবে একজন মানুষ নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করে জীবনকে আরও সুখী এবং সফল করতে পারে। বইটি অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক উদাহরণ দিয়ে লেখার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করেছে।

লেখকগণের অবদান:

প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী একজন প্রতিষ্ঠিত মনোবিজ্ঞানী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক অভিজ্ঞ লেখক। তাঁর লেখনীর বৈশিষ্ট্য হল, তিনি কঠিন ও জটিল বিষয়গুলো খুবই সহজ ভাষায় এবং প্রতিদিনের জীবনের উদাহরণ দিয়ে উপস্থাপন করেন। তাঁর গভীর গবেষণার ফলস্বরূপ, বইটি শুধু তাত্ত্বিক নয়, খুবই ব্যবহারিক এবং সহায়ক।

বইয়ের উপকারিতা:

“ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” বইটি যে কোনো বয়সের এবং পেশার মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি জীবনে সফল হওয়ার জন্য আবেগের ভূমিকা বোঝাতে সাহায্য করে এবং নিজের আবেগের প্রতি আরও সচেতন করে তোলে। যারা নিজেদের সম্পর্ক, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত উন্নতি সম্পর্কে চিন্তা করেন, তাদের জন্য এটি একটি মূল্যবান গাইডলাইন। এছাড়া, এটি পেশাগত জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও অপরিহার্য, কারণ আবেগগত বুদ্ধিমত্তা কেবল সম্পর্ক নয়, কর্মক্ষেত্রেও পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বইটির পাঠকগোষ্ঠী:

বইটি তরুণ পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, এবং এমনকি অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্যও উপকারী। যারা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং সম্পর্ক বা কর্মজীবনে সাফল্য অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এটি এক দুর্দান্ত উপায়। যেহেতু এটি খুবই সহজ এবং গঠনমূলক ভাষায় লেখা হয়েছে, যে কেউ বইটি পড়লে বিষয়গুলো সহজেই আয়ত্ত করতে পারবে। এটি একটি পারফেক্ট গাইড হতে পারে, বিশেষ করে যারা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতি আগ্রহী।

বইয়ের প্যাকেজ:

এই বইটির হার্ডকভার সংস্করণ বইটির মর্যাদা বাড়িয়েছে। এর সুন্দর কভার ডিজাইন এবং উচ্চমানের কাগজ বইটির পঠন অভিজ্ঞতা আরও চমৎকার করেছে। বইটির প্রতি শ্রদ্ধা এবং গুরুত্ব ধরে রাখতে এটি খুবই উপযুক্ত। এটি যে কোনো বইয়ের শেলফে একটি বিশেষ স্থান পাবে এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে।

উপসংহার:

“ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (হার্ডকভার)” একটি দারুণ বই যা আমাদের আবেগ বুঝতে এবং পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে। প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী এর মাধ্যমে আমরা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে পারি এবং এটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। এটি একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকরী বই, যা আত্মউন্নয়ন, সম্পর্ক এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি করার জন্য সবাইকে সাহায্য করবে।

আপনার কপি কিনুন রকমারি.কম থেকে–

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top