বই রিভিউ: “স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ – ২য় খণ্ড (হার্ডকভার) – ফরিদ আহমেদ”
ইংরেজি ভাষা শেখা এখনকার যুগে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। এটি শুধু চাকরি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে না, বরং দৈনন্দিন জীবনেও মানুষের মিথস্ক্রিয়া এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। ফরিদ আহমেদের “স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ – ২য় খণ্ড” বইটি এমন একটি রচনা, যা ইংরেজি ভাষা শেখার প্রক্রিয়াটিকে সহজ, কার্যকর এবং আনন্দদায়ক করে তুলেছে। প্রথম খণ্ডের সফলতার পর, এই বইটি আরও উন্নত কৌশল এবং পদ্ধতি প্রদান করেছে যা পাঠকদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে তুলবে।
বইয়ের বিষয়বস্তু:
“স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ – ২য় খণ্ড” বইটি দ্বিতীয় পর্যায়ে ইংরেজি ভাষার উন্নত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে, যেমন ইংরেজি বাক্য গঠন (sentence structure), উচ্চারণের নিখুঁততা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দক্ষতা, সঠিক প্রয়োগ এবং সাধারণ ও আধুনিক কথোপকথনে ইংরেজি ব্যবহার। বইটি মূলত যাদের ইংরেজি ভাষায় মৌলিক দক্ষতা অর্জন হয়েছে, তাদের জন্য আরো উন্নত কৌশল এবং বিষয় উপস্থাপন করে, যা তাদের ইংরেজি ভাষার শুদ্ধতা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।
ফরিদ আহমেদ এই খণ্ডে আরও কৌশলপূর্ণ পদ্ধতি প্রদান করেছেন, যাতে পাঠকরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন পরিবেশে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। যেমন, ইংরেজি ভাষায় সঠিক উচ্চারণ, উপযুক্ত শব্দচয়ন, বাক্য গঠন এবং স্বাভাবিকভাবে ইংরেজি কথোপকথন করার দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করবে।
লেখনীর শৈলী:
ফরিদ আহমেদের লেখনীর শৈলী অত্যন্ত সুসংগঠিত, সহজবোধ্য এবং সোজাসাপ্টা। তিনি এমনভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন, যাতে যে কোনো শিক্ষার্থী সহজেই বিষয়গুলো বুঝতে পারে এবং প্রয়োগে আনতে পারে। বইটি খুবই কার্যকরী এবং পাঠকদের সামনে একটি পরিষ্কার দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তিনি কঠিন বিষয়গুলিকে সোজা করে বুঝিয়েছেন, যা ইংরেজি শেখার জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
বইটির পদ্ধতি খুবই স্মার্ট এবং কার্যকরী, যেখানে লেখক পাঠকদের অভ্যন্তরীণভাবে ইংরেজি শিখানোর দিকে জোর দিয়েছেন, যেটি মুখস্থ করার চেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ। বইটির প্রতি অধ্যায়ই খুব পরিপাটি এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। উচ্চারণ, বাক্য গঠন, ও শব্দচয়ন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বইটি পাঠককে দক্ষ করে তুলতে সাহায্য করবে।
পাঠকের প্রতি প্রভাব:
এই বইটি পড়ার পর, পাঠকরা তাদের ইংরেজি দক্ষতার একটি নতুন স্তরে পৌঁছাতে পারবেন। বিশেষ করে, যারা ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য আগ্রহী কিন্তু পুরনো পদ্ধতিতে ক্লান্ত, তাদের জন্য এটি এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠতে পারে। ফরিদ আহমেদ এমন পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন যা পাঠকদের ইংরেজি ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাবতে এবং কথা বলতে সাহায্য করবে, যার ফলে তারা সাহসী হয়ে উঠবে এবং ইংরেজিতে আরও দক্ষতা অর্জন করবে।
এছাড়া, বইটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাষার দক্ষতা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হবে। ভাষার প্রতি আগ্রহী বা ভাষায় দক্ষ হতে চাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এই বইটি একটি অমূল্য রিসোর্স হতে পারে, যা তাদের শেখার অভিজ্ঞতাকে সহজ এবং ফলপ্রসূ করে তুলবে।
সামাজিক গুরুত্ব:
“স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ – ২য় খণ্ড” বইটি শুধু একজন শিক্ষার্থী বা ইংরেজি ভাষায় আগ্রহী ব্যক্তির জন্যই নয়, বরং আমাদের সমাজের বৃহত্তর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা এবং বিশ্বজনীন যোগাযোগের মূল হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফরিদ আহমেদ এই বইটির মাধ্যমে ইংরেজি শেখার নতুন একটি যুগের সূচনা করেছেন, যা বাংলাদেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও ইংরেজি শিক্ষার্থীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
এছাড়া, ভাষা শেখার নতুন পদ্ধতি এবং উপায় গ্রহণ করে, ফরিদ আহমেদ আমাদেরকে ভাষার প্রতি নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছেন, যা সমাজে ভাষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে।
শেষকথা:
“স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ – ২য় খণ্ড” একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বই। ফরিদ আহমেদ তার লেখনীর মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা শেখার এক আধুনিক, সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। এটি কেবল ভাষা শেখার প্রক্রিয়াটিকে আরও সোজা ও আনন্দময় করে তুলেছে, বরং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। যারা ইংরেজি শিখতে চান এবং ভাষার প্রতি আগ্রহী, তাদের জন্য এই বইটি এক অমূল্য রিসোর্স।
আপনার কপি কিনুন রকমারি.কম থেকে–