Title | হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী |
Author | হুমায়ূন আহমেদ |
Publisher | জ্ঞানকোষ প্রকাশনী |
ISBN | 9789848933602 |
Edition | 8th Published, 2022 |
Number of Pages | 98 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
খারাপ কি? আমিতো এখনো ক্রিজে আছি! দরজা বন্ধ বাড়ির সামনে
দীড়িয়ে থাকার মধ্যেও আনন্দ আছে: বাড়ির ভেতরের মানুষদের টেনশানে
ফেলার আনন্দ। মানুষের স্বভাবই হচ্ছে অন্যদের টেনশাদে ফেলে সে আনন্দ
পায়। সৃষ্টিকর্ভাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান ৰলেই মানফজ্জাতি
সারাক্ষণ টেনশানে থাকে ।
মানুষের মহস্তম খণের একটির নাম কৌতৃহল । জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প
সাহিতোর মূলে আছে মানুষের গুপার কৌতৃহল। ঢাকা পহরেয় মানুষরা এই
যহতগুণের অধিকারী । তৰে এই মহখণের কারণে জ্ঞান বিজ্ঞান শিল্প সাহিত্যে
তাদের কিছু বে হয়েছে তা-না। ঢাকা শহরের মানুষের কৌতুহণ হুপ্র গঞ্ডিতে
আবদ্ধ । গরমের সময় কেউ যখন শসা খায় তখন তাকে ঘিরে পঞ্চশজন মানুষ
দাঁড়িয়ে থেকে শসা খাওয়া দেখে ৷ আখের রস বের করা যন্ত্র ঘিরেও চল্লিশ
পয়আন্লিশজন কৌতৃহলী মানুষ সব সময় দেখা যায় । শ্রমিকর। যখন রাস্তা খুঁড়ে
পাইগ বসার তখন শ’খালেক মানুষকে রাস্তার দু’পাশে হসে থাকতে দেখা বায়!
কৌতৃহলের কারণেই আমকে ঘিরে পচিশ ব্রিশজন মানুষ দাড়িয়ে গেল।
কৌতূহলী মানুবয়া সংঘবদ্ধ থাকে এবং ভাদের একগ্রাদ লিভার থাকে ।
এখানকার লিভারের মাথায় বাউলদের মত লক্বা চুল। তিনি ঘন ঘন মাথা
স্বাকাচ্ছেন। বাতাসে তার বাবড়ি চুল নাচছে। অত্যন্ত বলশালী মানুষ পাঞ্জাবী
পরা, পাঞ্জাবীর হাতা! গোটানে’ । দেখে মনে হয় ঘোসাঘুসির জন্যে প্রত্ুত । তিনি
আমার কাছে এসে বললেন, ভ’ইসাব অনেকক্ষণ আপনি এই বাড়ির গেট ধরে
দাঁড়িয়ে আহেন। ঘটনা কি বলুনতো । কোনো সমস্যা? আমার নাম এ আলম।
আমি বললাম, এই বাড়ির একটা বাচ্চা মেয়ের নাম তানিজ্জা। সে তার
বাবার এক জোড়া জুতা আমাকে দিবে বলেছিল। সুতার জন্যে দীড়িয়ে আছি।
জুতা দিচ্ছে না।
জালম আমার খালি পারের দিকে তাকালেন । মনে হচ্ছে তিনি মর্মাহত :
স্ষুন্ধ গলায় বললেন, সুতা দিবে না । এটা কেমন কথা । অবশ্যই জুতা দিতে
হৰে।
তিনি মাথার ৰাবড়ি চুলে একটা বড় ধরনের ঝাঁকি দিয়ে জনতার উদ্দেশো
তেজি গলায় বললেন, দেখুন কি অবিচার । একটা লোক থালি পায়ে দীড়িয়ে
আছে। তাকে জুতা দিচ্ছে না।
কৌতূহলী জনতাকে ভ্কুতা দিচ্ছে না শুনে মর্মাহত বলে মনে হল। তারা
বলল, জুতা দিতে হবে । জুতা না দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।