একটু চোখ বুলিয়ে নিন
ওল মারের আয়া উপন্যাসে
সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসে তীব্র হয়ে আছে সমকাল। শিবচরণপুর গ্রামের গগন কলকাতায় এক প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার। মায়ের জরুরি ডাকে সে শ্রামে ফিরে শোনে শ্রামবাসীদের জমি বিক্রি করতে প্রলুন্ধ করছে এক ধনী ব্যক্তি, পঞ্চায়েত কারও মত জমি বেচার পক্ষে । কলকাতায় ফিরে গগন একজন সাংবাদিকের কাছে জানতে পারে সরকার শিল্পস্থাপনের জন্য শিবচরণপুরে প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করবে। ক্রমে এই জমি নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। সরকারি পার্টির লোক জমি অধিগ্রহণের পক্ষে। বিরোধী দলের লোকজন জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। সুচনা হয় এক ভ্রাতৃঘাতী লড়াইয়ের। পুলিশ গুলি চালালে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গ্রাম। দারিদ্রযপীড়িত, নিরাপত্তাহীন, অসহায় গ্রামীণ মানুষের রক্তে ভিজে যায় বাংলার মাটি। জনপ্রিয় লেখকের কলমে উঠে এসেছে অনিবার্ প্রশ্ন_ কীসের যুদ্ধ? কারা এই যুদ্ধের
বলি হচ্ছে?
লেখক সম্পর্কে
সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০-এ। শিক্ষা: স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স, পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ! লেখালেখি! প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। তারপর নাটক লিখতে গিয়ে গল্প লেখা। প্রথম
গল্প “দেশ’ পত্রিকায়, ১৯৬৭ সালে। প্রথম উপন্যাস “দৌড়”, ১৯৭৫-এ “দেশ’ পত্রিকায়। গ্রন্থ: দৌড়, এই আমি রেণু, উত্তরাধিকার, বন্দীনিবাস, বড় পাপ হে, উজান গঙ্গা, বাসভূমি, কালবেলা, কালপুরুষ এবং আর অনেক। সম্মান: ১৯৮২ সালের আনন্দ পুরস্কার তার যোগ্যতার স্বীকৃতি। এ ছাড়া “দৌড়’ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার হিসাবে বি এফ জে এ, দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে ‘কালবেলা; উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।