একটু চোখ বুলিয়ে নিন
মিসির আলি আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখছেন। রোগা লম্বা এক জন মানুষ। মুখ দেখা যায়
না, কারণ লোকটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই গরমেও ফুল হাতা ফানেলের
শার্ট, ফুলপ্যান্টটি চকচকে কাপড়ের তৈরী। ছাটের ধরন দেখে মনে হর সেকেন্ডহ্যান্ড
মার্কেট থেকে কেনা। এ ধরনের ছাঁটের প্যান্ট ঢাকায় এখন চালু নেই। পায়ের জুতো
জোড়া ঝকঝক করছে। মনে হচ্ছে এখানে আসবার আগে জুতো পালিশ করেছে।
মিসির আলী লোকটির বয়স আন্দাজ করার চেষ্টা করছেন। কুঁড়ি থেকে পঁচিশের মধ্যে হওয়ার কথা।
এই বয়সের যুবকদের চেহারায় এক ধরনের আভা থাকে। এর তা নেই। অল্প বয়সে চুল ও পেকেছে বলে মনে হচ্ছে।
লেখক সম্পর্কে
বাংলাদেশের লেখালেখির ভুবনে প্রবাদ পুরুষ। গত ত্রিশ বছর ধরেই তাঁর তুঙ্গস্পর্শী
জনপ্রিয়তা । এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন । অধ্যাপনা
ছেড়ে হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের
‘দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, আমার আছে জল, … ছবি বানানো চলছেই।
ফাঁকে ফাঁকে টিভির জন্য নাটক বানানো। মানুষ হিসেবে তাঁকে তাঁরই সৃষ্ট চরিত্র হিমু এবং মিসির আলি মতোই রহস্যময় বলে
মনে হস্ত । তার বেশিরভাগ সময় কাটে নিজের তৈরি নন্দনকানন “নুহাশ পল্লী’তে ।