Onisshesh Alo by Enayetullah Altamash - 2

অনিঃশেষ আলো ২ – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ (Onisshesh Alo 2 by Enayetullah Altamash)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

এক
সে একটি সময় ছিল । কেমন ছিল তারা মুসলমান আর কেমন ছিল তাদের ঈমান!
আজকের পাল্লায় পরিমাপ করুন; মনে হবে, হিসাব ভুল হয়ে গেছে। প্রতীয়মান
হবে, এই যে আমরা ইসলামি জয়ের এতিহাসিক কাহিনীগুলো পড়ছি, এগুলো
বানানো গল্প ।
এটি মানবীয় স্বভাবের বহিঃপ্রকাশ, যেটি প্রকৃতির অটুট নিয়মের অধীনে আত্মপ্রকাশ
করে। আর এটি কর্ম ও কর্মফলের দর্শন যে, ফলাফল কাজের অনুরূপ হয়ে থাকে।
মানুষ যদি ভুল চিন্তায় পড়ে যায়, তা হলে মস্তিষ্কের কম্পিউটার তার অপারগতার
কথা জানিয়ে দেয় । সেই চিন্তার ফলাফল ভুলই হয় । মুসলমান যদি ঈমান থেকে
হাত ধুয়ে ফেলে, তা হলে তার চোখে কালকের ইতিহাস আজকের বানানো
কাহিনীতে পরিণত হয় । তারাও মুসলমানই ছিলেন, যারা ঈমানকেই তাদের
একমাত্র প্রিয় সম্পদ মনে করতেন এবং তাদের চোখে তাদের জীবনের কোনো
গুরুত্ই ছিল না। সেটি ঈমানেরই শক্তি ছিল যে, সেই মুসলমানরা সে-যুগের
দৈত্যকায় সামরিক শক্তিগুলোকে উপাখ্যানে পরিণত করে দিয়েছিলেন, যেন তাদের
সারবত্তা বলতে কিছুই ছিল না।
আসমান-জমিন সব কাপছে । পারস্যের যখন যিনি রাজা হতেন, প্রজারা তাকে
খোদা বলে মান্য করত । হাতে সামরিক শক্তি থাকলে আর পায়ে সম্পদ থাকলে
মানুষ নিজেকে ফেরাউনের মতো খোদা মনে করে বসে । পারস্যের রাজারা
নিজেদের খোদার পুত্র মনে করতেন । কিন্তু খোদা ও তার রাসূলের অনুসারীরা যখন
সত্যের বার্তা হাতে নিয়ে বের হলেন, তখন “খোদার পুত্র” ইয়াযদাগর্দ তার
রাজধানী মাদায়েনকে সমুদয় সম্পদসহ মুসলমানদের পায়ে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে
গেলেন। ইনি ছিলেন পারস্যের সর্বশেষ কেসরা । তার গোটা সাম্রাজ্যের উপর
মুসলমানদের কক্জা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল আর সেই সঙ্গে পারস্যে রাজত্বের ধারা বন্ধ
হয়ে গেল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top