একটু চোখ বুলিয়ে নিন
মেয়েটি পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো শারীনার দিকে ।
“শারীনা!’ মেয়েটি শারীনার একেবারে কাছে এসে বললো । “তোমাকে চিনতে
আমার মোটেই কষ্ট হচ্ছে না। তুমি কি শারীনা নও? ৰ
তো সরাও। তোমার মুখটি কি আমি দেখতে পারি না? শুধু মুখের কথা শুনে তো সব
সময় কাউকে চেনা যায় না। তুমি কি মুসলমান নও?
“না, আমি মুসলমান নই । আমি আরবীলা । আমরা নিশ্চয় একে অপরকে কখনো
ভুলতে পারবো না।” মেয়েটি বললো ।
“উহ, আরবীলা’ শারীনা আরবীলাকে জড়িয়ে ধরে খুব দ্রুত বললো, তুমি এখানে
কি করে এলে? কি করছো এখানে? কার সঙ্গে এসেছো? তাড়াতাড়ি বলো । তোমার
এখানে একা একা ঘোরাফেরা করা ঠিক নয় ।’
“আমি তো এসেছি ওই নষ্ট চরিত্রের আতরাবুনের সঙ্গে । আতরাবুন আমাকে নিয়ে
এসেছে এখানে । শুনেছি, সে নাকি মারা গেছে। এই খবরটা আমাকে দারুন আনন্দ
দিয়েছে ।
“আর এখানে এক ফৌজি অফিসার রোহাশকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আতরাবুনের লাশটা
কোথাও দেখা যায় কিনা সেটাও দেখছি। তাহলে আমি নিশ্চিত হয়ে যাবো যে, আমি
মুক্ত । ওর লাশের মুখে আমি থুথু ছিটাতে চাই ।’
আরবীলা শারানীকে যা বললো সংক্ষেপে তাহলো এই যে,
আতরাবুন তাকে এক প্রকার রক্ষিতা বানিয়ে রেখেছিলো । অথচ সে পঁচিশ বছরের
যুবক এক রোমীয় অফিসার রোহাশকে ভালোবাসতো । আরবীলাও ছিলো রোহাশের
মন-্প্রাণ জুড়ে ।
কিন্তু আরবীলার ওপর নজর পড়ে গেলো নারী খেকো আতরাবুনের’ ।
সে তার অবৈধ ক্ষমতার জোরে তার মা বাবাকে নগদ কিছু টাকা পয়সা দিয়ে
আরবীলাকে এক প্রকার কিনে নিলো । এ নিয়ে টু শব্দটি করলেও ওর মা বাবার বড়
ভয়ংকর পরিণাম হবে বলে হুমকি দিয়ে রাখলো আতরাবুন।