একটু চোখ বুলিয়ে নিন
আধার ফুঁড়ে দৃষ্টি চালাবার চেষ্টা করছে নারগুই এখতুওয়ায়া।
ঘাড় কাত করে শুনছে দীড়ের ছন্দোবদ্ধ ছপৃ-ছপ্ আওয়াজ। দ্রুত
এগিয়ে আসছে শত্রুপক্ষের জলযান। একটু পিছিয়ে গাঢ় ছায়ায়
হাটু মুড়ে বসল মঙ্গোলিয়ান কমাপ্তার_আয়, তোদের ভালমতই
অভ্যর্থনা দেব।
অধীনস্থ সৈন্যদের জানা আছে, নারগুই শত্রদলকে উঠতে
দেবে জাহাজে
জাপানের হাকাটা বে। আগস্টের দশ তারিখ, বারো শ’*
একাশি খ্রিস্টাব্দ । চারদিক নিকষ অন্ধকার ৷
দীড় বাওয়ার শব্দ থেমে যাওয়ার একটু পরেই ঠক্ করে
আওয়াজ হলো । নৌকাটা জাহাজের স্টার্নে ভিড়েছে।
মাঝরাত। চাদ নেই, মেঘ-মুক্ত আকাশে ঝিকমিক করছে
উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো–পুরো জাহাজে লেপটে আছে আবছা আলো ।
এখতুওয়ায়া দেখল, স্টার্নের রেল টপকাচ্ছে কালো একটা
ছায়া। তারপর এল ওরা একের পর এক! একমিনিট পার
হওয়ার আগেই দেখা গেল, জাহাজের ডেকে উঠে এসেছে মোট
বারোজন। রংচঙা রেশমের পোশাক পরনে। ওগুলোর উপর
চামড়ার আর্মার ও টিউনিক। নড়াচড়া করলেই খসখস আওয়াজ
হচ্ছে, তবে নারগুইয়ের চোখ আটকে গেল ওদের হাতে ধরা
ডুয়েলিং তলোয়ারের উপর । কাটানাগুলো ক্ষুরের মত ধারালো ।
তারার আলোয় থেকে থেকে ঝিকিয়ে উঠছে ওগুলো ।