দি বেস্ট লেইড প্ল্যানস - সিডনি শেলডন (The Best Laid Plans By Sidney Sheldon)

দি বেস্ট লেইড প্ল্যানস – সিডনি শেলডন (The Best Laid Plans By Sidney Sheldon)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

গল্প শুরুর আগে

ওই পুরুষটি চেয়েছিল পৃথিবীর সমস্ত শক্তিকে মুঠো বন্দী করতে। মেয়েটি চেয়েছিল প্রতিশোধ নিতে। প্রিয় দিনপঞ্জিকা-এই সকালে এমন একজনের সঙ্গে আমার দেখা হল, যাকে আমি বিয়ে করতে চলেছি।

এভাবেই এক তরুণীর দিন যাপনের ইতিকথা লেখা হয়েছে । সে জানতো না একটু বাদেই কি ঘটনা ঘটতে চলেছে।
তার নাম লেসলি স্টুয়ার্ট, সে অসাধারণ রূপসী এবং তার দুচোখে স্বপ্নের ইশারা, সে জেনেছিল পুরুষের হাতেই পৃথিবীর সব শক্তি লুকিয়ে থাকে।

অলিভার রাসেল, দক্ষিণ অঞ্চলের একটি ছোট্ট প্রদেশের গভর্নর । শেষপর্যন্ত তিনি তার তীব্র নারী তৃষ্ণার কারণ অনুসন্ধানে সফল হয়েছিলেন কী?

এভাবেই সিডনি সেলডন মানুষের ব্যক্তিগত আশা আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে এক রহস্য রোমাঞ্চ ভরা কাহিনী শুরু করেছেন। অলিভার চেয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের যুদ্ধে জয়লাভ করতে । লেসসির ইচ্ছে ছিল অলিভারকে এমন আনন্দ দিতে যা তিনি কখনও পাননি । এভাবেই তাদের দুজনের মধ্যে এক অসম বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। শুরু হয় ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র…

০১

লেসলির ডায়েরিটা শুরু হয়েছিল এইভাবে প্রিয় ডায়েরি, এই সকালে এমন একজন পুরুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে যাকে আমি বিয়ে করবো।

সহজ সরল স্বীকারোক্তি। কিন্তু, লেসলি কী জানতো এর পরের ঘটনা পরম্পরা তাকে কোন পথের পথিক করে দেবে!

দিনটা একই রকমভাবে শুরু হয়েছে। লেসলির মনে একই রকম আশা ও আনন্দ। জ্যোতিষীকে সে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করে না। কিন্তু সেদিন সকালবেলা লেক্সিংটন হেরাল্ড লিডার। পত্রিকাতে সে একটা প্রতিবেদন দেখে অবাক হয়ে গেল। বিখ্যাত জ্যোতিষীর লেখা প্রবন্ধ বলা হয়েছে-এবার আপনার জীবনে নতুন চাঁদের উদয় হবে। আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। ২৩শে জুলাই থেকে ২২শে আগস্ট-সব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। আজকের দিনটা আপনার কাছে লাল অক্ষরের দিন হবে। এর জন্য প্রস্তুত হন, এটাকে পুরো উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।

লেসলি ভাবল, আজ কী ঘটবে? আকাশের দিকে তাকালেন, একই রকম মেঘের খেলা । একই রকম গতানুগতিক জীবন।

লেসলি লেক্সিটন কোম্পানির পাবলিক রিলেশনস এগজিকিউটিভ। আজ সারাদিন তাকে অত্যন্ত কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হবে । তার মধ্যে…

কুড়ি বছরের মেয়েটি ছিল অত্যন্ত আবেদনী চেহারার অধিকারিনী। যে কোনো পুরুষ তাকে দেখলেই প্রেমে পড়ে যেত। হ্যাঁ, তার অসম্ভব আমন্ত্রণী চেহারা সকলকে আকর্ষণ করতো । চোখের তারায় কি এক অদ্ভূত দ্যুতি খেলা করতো । চুলের রং মধুর মতো, যথেষ্ট লম্বা এবং আকর্ষণীয়। লেসলির এক ঘনিষ্ট বান্ধবী তার কানে কানে শুনিয়ে ছিল সেই গোপনমন্ত্র-তুমি সুন্দরী, তোমার মাথাটা খুব পরিষ্কার, তোমার স্ত্রী-অঙ্গটিও সুন্দর । একদিন তুমি পৃথিবীর রানী হবে।

লেসলি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, বুদ্ধ্যাঙ্ক পৌঁছে গেছে একশো সত্তরের ঘরে। কিন্তু এই রূপ? এটা কি আমার চলার পথের অন্তরায়?

পুরুষেরা তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় না, তাদের চোখের তারায় শুধুই আমন্ত্রণী ইশারা ফুটে ওঠে।

ওই কোম্পানিতে আর দুজন পুরুষ সেক্রেটারী কাজ করে, অর্থাৎ লেসলি সেখানকার একমাত্র মহিলা । সব মিলিয়ে পনেরো জন পুরুষ কর্মচারি আছে। তাদের মধ্যে লেসলিকে নানা অস্বস্তিকর পরিবেশের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে সে সব ব্যবস্থার সাথে আপস করতে সমর্থ হয়েছে।

সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top