অগ্নিপুরুষ – মাসুদ রানা – কাজী আনোয়ার হোসেন (Agnipurush – Masud Rana By Kazi Anwar Hossain)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

ঝাকড়া মাথা পাইন, নারকেল বীথি আর গাংচিলদের ডানা ঢেকে রেখেছে
আকাশটাকে । বাতাসে দারুচিনি আর জলপাইয়ের গন্ধ । চারদিকে মিঠে-কড়া
রোদ, ছায়ায় বসন্তের আমেজ। দূর সৈকতে ঝিনুক-লোভী কিশোরীরা স্কার্ট
খানিকটা ওপরে তুলে ছুট্টোছুটি করছে, তেড়ে এসে পায়ে লুটিয়ে পড়ছে
ভূমধ্যসাগর, তাদের ভেজা পায়ে ঝিকমিক করছে সোনালি রোদ। অলস দুুর
রাস্তার পাশের একটা গাছ থেকে নিঃসঙ্গ এক কোকিল হঠাৎ জরুরি আবেদনের
সুরে কু-কু-কু করে ডেকে উঠছে, চোখ তুলে তাকাচ্ছে দৃ’একজন অন্যমনক্ক পথিক,
নিঃশ্বাসে মদের গন্ধ ।

  • ্বীপের নাম কর্সিকা। বাস্তিয়া বন্দর ।

দিন দুই বেশ গরম পড়েছে অথচ সময়টা শীতকাল। একজন বার মালিক
বুদ্ধি করে একটা টেবিল আর খান কতক চেয়ার টেনে নিয়ে এসে ফেলেছে ছাল
ওঠা. পেভমেন্টে। ওখানে বসে একা এক বয়ঙ্ক লোক হুইস্কি খাচ্ছে, তার চোখ পড়ে
আরে দুরের দির ভে মারার নে তৈরি হা একটা হোসি, নিভোরনো া-়্
যাবে ওটা।

প্রায় দু’ঘন্টা হয়ে গেল ওখানে বসে রয়েছে লোকটা । প্রথম দিকে পাচ-সাত,
মিনিট পরপরই গ্রাস ভরে দেয়ার জন্যে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল, শেষে বার
মালিক গোটা একটা বোতল, প্লেট ভর্তি কালো জলপাই আর খোসা ছাড়ানো কাজু
বাদাম.রেখে গেছে তার টেবিলে। রাস্তায় আর পেভমেন্টে অনবরত, বাকবাকুম
আওয়াজ তুলে গর্বিত ভঙ্গিতে হাটাহাটি করছে এক ঝাক পায়রা, হঠাৎ খেয়াল
হলে ওগুলোর দিকে এক মুঠো করে কাজু বাদাম ছুঁড়ে দিচ্ছে আগস্তুক।

রাস্তার ওপারে, পেভমেন্টের ওপর বসে রয়েছে ছোট এক ছেলে। ভাজ করা
হাটু দুটো এক করা, তার ওপর চিবুক রেখে গভীর মনোযোগের সাথে লোকটার
জলপাই আর হুইস্কি খাওয়া লক্ষ্য করছে সে।

ঝাকড়া মাথা পাইন, নারকেল বীথি আর গাংচিলদের ডানা ঢেকে রেখেছে
আকাশটাকে । বাতাসে দারুচিনি আর জলপাইয়ের গন্ধ । চারদিকে মিঠে-কড়া
রোদ, ছায়ায় বসন্তের আমেজ। দূর সৈকতে ঝিনুক-লোভী কিশোরীরা স্কার্ট
খানিকটা ওপরে তুলে ছুট্টোছুটি করছে, তেড়ে এসে পায়ে লুটিয়ে পড়ছে
ভূমধ্যসাগর, তাদের ভেজা পায়ে ঝিকমিক করছে সোনালি রোদ। অলস দুুর
রাস্তার পাশের একটা গাছ থেকে নিঃসঙ্গ এক কোকিল হঠাৎ জরুরি আবেদনের
সুরে কু-কু-কু করে ডেকে উঠছে, চোখ তুলে তাকাচ্ছে দৃ’একজন অন্যমনক্ক পথিক,
নিঃশ্বাসে মদের গন্ধ ।

  • ্বীপের নাম কর্সিকা। বাস্তিয়া বন্দর ।

দিন দুই বেশ গরম পড়েছে অথচ সময়টা শীতকাল। একজন বার মালিক
বুদ্ধি করে একটা টেবিল আর খান কতক চেয়ার টেনে নিয়ে এসে ফেলেছে ছাল
ওঠা. পেভমেন্টে। ওখানে বসে একা এক বয়ঙ্ক লোক হুইস্কি খাচ্ছে, তার চোখ পড়ে
আরে দুরের দির ভে মারার নে তৈরি হা একটা হোসি, নিভোরনো া-়্
যাবে ওটা।

প্রায় দু’ঘন্টা হয়ে গেল ওখানে বসে রয়েছে লোকটা । প্রথম দিকে পাচ-সাত,
মিনিট পরপরই গ্রাস ভরে দেয়ার জন্যে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল, শেষে বার
মালিক গোটা একটা বোতল, প্লেট ভর্তি কালো জলপাই আর খোসা ছাড়ানো কাজু
বাদাম.রেখে গেছে তার টেবিলে। রাস্তায় আর পেভমেন্টে অনবরত, বাকবাকুম
আওয়াজ তুলে গর্বিত ভঙ্গিতে হাটাহাটি করছে এক ঝাক পায়রা, হঠাৎ খেয়াল
হলে ওগুলোর দিকে এক মুঠো করে কাজু বাদাম ছুঁড়ে দিচ্ছে আগস্তুক।

রাস্তার ওপারে, পেভমেন্টের ওপর বসে রয়েছে ছোট এক ছেলে। ভাজ করা
হাটু দুটো এক করা, তার ওপর চিবুক রেখে গভীর মনোযোগের সাথে লোকটার
জলপাই আর হুইস্কি খাওয়া লক্ষ্য করছে সে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top