একটু চোখ বুলিয়ে নিন
দু’পা হাটছে, থামছে-একে ঠিক পায়চারি বলে না । অস্থির, আড়ষ্ট
একজন লোক । এখন বেশ ভালই ফুটেছে ভোরের আলো,
গবাক্ষ, গরাদহীন জানালা, চওড়া কার্ণিস, ঝুল-বারান্দা, মিনার
আর গম্থুজ আকৃতির ছাদ, কামান বসাবার সার সার চৌকো গর্ভ,
তার প্রছনে | নারেসবরো গ্রাম থেকে বাক নিয়ে ক্রমশ ওপর
দিকে উঠতে শুরু করে দুর্গের সামনে পৌচেছে রাস্তাটা, সেদিকে
বার বার তাকাল রিচার্ডসন |
ভাঙাচোরা নিষ্প্রাণ দুর্গ, এপ্রিলের ভেজা ভেজা ভোরের
আকাশে হেলান দিয়ে মুখ ভেঙউচে আছে। বলা চলে পরিত্যক্ত
ধ্বংসাবশেষ | ভারী, গন্তীর চেহারার ফ্টকগুলোয় কোন্ কালে
এক একটা আধমণ ওজনের তালা ঝোলানো হয়েছিল, শুধু
মরচেই ধরেনি, চাবি টোকাবার ফুটোগুলো ধুলো ঢুকে বুজে
গেছে। দুর্গটার এঁতিহাসিক গুরুত্ব খুব সামান্যই, ব্রিটিশ পর্যটন
পুস্তিকায় খুজলে পরিচয় ইত্যাদি সম্পর্কে দু’একটা লাইন পাওয়া
গেলেও যেতে পারে । কাছ থেকে দেখলে নিঃসঙ্গ মনে হয়
দুর্গটাকে, সময়ের সীমানা পেরিয়ে এসে বোবা পাথর বনে গেছে।
এক সময় ভয়াবহ রক্তপাত ঘটেছে এখানে, পদাতিক সৈন্যরা
বাক বেধে আসা-যাওয়া করেছে, খটাখট খটাখট ঘোড়ার খুরের