একটু চোখ বুলিয়ে নিন
সব সাগরেই দুর্ঘটনায় জাহাজ ধ্বংস হয়, প্রাণ হারায় মানুষ। কিন্তু জাহাজসুদ্ধ
মানুষ গিলে ফেলার ব্যাপারে প্রশান্ত মহাসাগরের জুড়ি নেই। রাক্ষুসে খিদে যেন এই
বিশাল জলরাশির। আচমকা আসে এর অপ্রত্যাশিত আক্রমণ। বাউন্টি জাহাজের
শৃন্তগভীর এই জলরাশি, যার জন্যে নামই হয়েছে এর প্রশান্ত মহাসাগর, অথচ হঠাৎ
হঠাৎ খেপে গিয়ে এমনই চরম অশান্ত হয়ে ওঠে যে তার নিষ্ঠুরতা কল্পনাকেও হার
ঢেউগুলোকে ইলেকট্রিক বালবের মত ভোতা নাক দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে
এগোচ্ছে-স্করপিয়ন। চারদিকে শান্তির পরিবেশ, সব স্বাভাবিক। এমনি সময়
সাগরের নিষ্ঠুরতা বা দুর্যোগের কথা ভাবাও যায় না।
সাগরকে সমীহ করে বেশির ভাগ মানুষ, ভয়ের চোখে দেখে। কিন্তু এই বেশির
ভাগের দলে পড়েন না কমান্ডার ম্যাসন। দুর্যোগ এলে আতকেও ওঠেন না, আবার
সাগরের শান্ত রূপ দেখে একেবারে মুগ্ধও হয়ে যান না তিনি। বিশ বছর
কাটিয়েছেনসাগরে সাগরে, তার মাঝে চোদ্দ বছরই সাবমেরিনে। এখন তিনি প্রতিষ্ঠা
চান। আলোড়ন সৃষ্টিকারী, পৃথিবীর আধুনিকতম সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন পদে বহাল
হয়েও সন্তুষ্টি নেই। আরও, আরও অনেক বেশি চাহিদা তার।
স্যান ফ্র্যাসসিসকোর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সদ্য জন্ম নিয়েছে ক্করপিয়ন। এর
কাঠামো এবং খোলস থেকে শুরু করে ভেতর-বাইরের প্রতিটি খুটিনাটি সবকিছুর