একটু চোখ বুলিয়ে নিন
মাসুদ রানা ঢাকায় থাকলে বিসিআই হেডকোয়ার্টারে প্রায় উৎসবমুখর একটা
প্রিবেশ তৈরি হয়; সবাই অপেক্ষা করে কখন কার সঙ্গে খুনসুটি করবে, কিংবা
হঠাৎ বেসুরো গলায় কোন গান গেয়ে বা শেকসপিয়ারের কোন নাটকের
আবেগঘন দৃশ্যে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেবে ।
উর্বর মস্তিষ্কে নতুন নতুন আইডিয়া গিজ গিজ করছে, ফলে সময় কাটানোর
এই সব আয়োজন কখনও একঘেয়ে লাগে না। তবে, অদ্ডুতই বলতে হবে, ওর
নিজের একঘেয়েমি আরও বরং গভীর হতে থাকে। কী ব্যাপার? ৬
ব্যাপার হলো, নিজের একঘেয়েমি দূর করবার জন্য এ-সব করে রানা । সেটা
শুরু হয় হাত যখন খালি থাকে, অর্থাৎ ওর হাতে যখন কোন আ্যাসাইনমেন্ট থাকে
না।
বালির পড়বাররপারিহিতি আজ ইহার বেরি ু হি
পিয়ে পড়বার -আর হওয়ার সুযোগ। ওর
মধ্েআছে রোমা ওর সুইলতাত অভি জু উংপাটিনর নে
প্রত্য়। এ-সব থেকে বেশিদিন দূরে সরিয়ে রাখলে স্রেফ অসুস্থ হয়ে পড়বৈ
রানা।
সময়টা বন্ধ্যা যাচ্ছে। আজ প্রায় তিন হ্তা হতে চলল ন্টা-পীচটা অফিস
করে রানা ক্রান্ত। বন্ধু-বান্ধব আর. সহকর্মীদের নিয়ে কত. আর মেতে থাকা যায়,
তাই এক হপ্তা ধরে নিজের কামরা প্রায় বেরুচ্ছেই না। ওর এই করুণ
অবস্থা দেখে প্রাইভেট সেক্রেটারি দরজার নেমপ্লেটে, “মাসুদ রানা’-র
উপর সাদা চক দিয়ে যোগ করেছে ‘খরাপীড়িত’।
আজও প্রায় সারাটা দিন শুধু কফি খেয়ে আর, টেবিলে তোলা পা নাচিয়ে
কাটিয়ে দিচ্ছে রানা । তবে অলস মস্তিষ্কে যার বাসা বধবার কথা, সে শুধু বাসাই
বাধেনি, ওকে একটা কুবুদ্ধিও যুগিয়েছে। সেজন্যই একটা. অস্থিরতা অনুভব করছে
ও । তবে বারবার চোখ বুলালেও ঘড়ির কাটা দ্রুত ঘোরে না, ছুটি হতে এখনও
এক ঘণ্টা দেরি।
পিপৃ! পিপ্!
বাকা চোখে ইন্টারকমের দিকে তাকাল রানা। আরও দু’তিন বার বাজতে
দিল ওটাকে, তারপর করেল থেকে রিসিভার তুলল । “রানা ।”
‘ইলোরা । বিসিআই চিফ মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাহাত, খানের
শরইতোটলিনেটারি সে বস বলে গেছেন, তিনি না ফেরা পর অকিসেই
থাকবে তুমি।”
“বলে গেছেন.-তারমানে অফিসে বস্ নেই?”