অশান্ত সাগর – মাসুদ রানা – কাজী আনোয়ার হোসেন (Ashanto Sagar – Masud Rana By Kazi Anwar Hossain)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

লগুন। হাড় কাপানো শীত, সেই সাথে অবিরাম বৃগ্টি। বাইরের কিছুই প্রায় দেখা
যায় না। হালকা খয়েরী রডের পুরু, মোটাসোটা মেঘের কম্বল উড়ে চলেছে অনেক
নিচু দিয়ে। এতোই নিচু দিয়ে, যেন হাত বাড়ালেই ছোয়া যাবে। টেমস-এর
ওপারে আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে পার্লামেন্ট ভবনের ঝঙ্জু কাঠামোটা। চূড়োয়
জুলছে টকটকে লাল একটা আলো-অধিবেশন চলছে, আলোটার দায়িত্ব তা
জানান দেয়া।

একটু এপাশে লপ্তনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজ। মাঝখান থেকে ধীরে ধীরে
ভাগ হয়ে গেল এটা বাহ দুটো উঠে গেল (পরদিকে বিশাল একা মালবাহী
জাহাজ দেখান গেল মরণ জিত ববজের তলা দিয়েখেপালো সিয়েড়লো টেলি
চলেছে এ । বাহু নেমে এলো আবার, গেল
পরস্পরের সাথে। দু’তীরে সার দিয়ে অপেক্ষমাণ গাড়ি ঘোড়া মিছিল করে উঠে
এলো ব্রিজে, ছুটলো যে যার গন্তব্যে । .

জানালার ভারি কা টেনেদিয়ে আরো দাড়ালো মাসুদা রানা এগিয়েএসে
জ্বেলে দিলো ডেস্ক লাইটটা। পাতলা গ্লাসের ঘেরাটোপে ঢাকা হাল্কা
ঘিয়ে রঙের হ্গিপ্ধ আলোয় হেসে উঠলো বড়সড় রুমটা। এটা ওর রানা এজেন্সির
নিজন্ব অফিস রুম । নকের আওয়াজ উঠলো দরজায় ।

ভরাট গলায় বললো রানা, ‘এসো ,

উজ্জ্বল চাদের মতো ঝলমলে হাসি মুখে ধরে ভেতরে এসে দীড়ালো ইকবাল
সাইফ, এখানকার ব্রাঞ্চ ইনচার্জ ৷ “সরি, মাসুদ ভাই। একটা কাজে আটকে
পড়েছিলাম । কখন এলেন?’

“ঘণ্টাখানেক,” মৃদু হাসলো ও । গ্রায় রানার সমান লম্বা ইকবাল সাইফ।
চমতকার হাসিখুশি ছেলে। খাটতে পারে মেশিনের মতো। ভারি পছন্দ ওকে
রানার । ‘বোসো।

পরশু আসার কথা ছিলো আপনার, শিরদীড়া সোজা করে বসলো ইকবাল?

হ্যা। প্যারিস ব্রাঞ্চে সামান্য ঝামেলা ছিলো। তোমার এদিকের খবর সব
ভালো?”

“জি, ভালো |”

রানা এজেন্সির ইউরোপীয় শাখাগুলোর কাজকর্ম পরিদর্শনে এসেছে মাসুদ
রানা । আগে বছরে একবার করে ভিজিট করতো ও বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
সংস্থাটির সবগুলো শাখায় । কিন্তু ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় এখন আর পেরে ওঠে
না। আসে, তবে অনিয়মিত । তাও একবার ইউরোপ, তো পরেরবার আমেরিকা |

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top