একটু চোখ বুলিয়ে নিন
সত্যপ্রকাশ অবসর জীবনে আসা বিপত্ীক বৃদ্ধ । তার সংসারের কতৃত্ এখন পুত্র অরুণপ্রকাশের হাতে । সত্যপ্রকাশের শখ বাগানওয়ালা বাড়িতে | পুত্র অরুণপ্রকাশের শখ ফ্ল্যাট বাড়িতে । নাতনি উর্মির শখ আমেরিকা পাড়ি জমানোর । নাতি স্বপ্নপ্রকাশের শখ সিরিয়াল বানানোর । প্রত্যেকের প্রচুর টাকার দরকার | পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী
স্বার মন যুগিয়ে চলতে চেষ্টা করেন । কাঞ্চন বাইরের একজন তরুণ যিনি সবাইকে সাহায্য করেন। সত্যপ্রকাশ প্রতিজ্ঞা করেছেন দুপুর বারোটার মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করবেন ৷ এমন দুরবস্থার মধ্যে এক জটিল সংবাদ নিয়ে এলো সলিসিটারির এক জদ্বলোক । প্রতিমা দেবী সবার কাছে ধিক্কার পেলেন- যার মূলে ছিল কাঞ্চনের কৌশল ।
কিভাবে বিশ্বাস টুকরো টুকরো হয়ে যায়- সমরেশ মজুমদারের এই উপন্যাস বিশ্বাসের প্রতীক অর্থে ভাঁঙা এবং এই অর্থ, স্বার্থ নিয়ে টানাটানি আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের পারিপার্থিক দৃশ্যও বটে এবং এইসব দৃশ্য নিয়ে সমরেশ মজুমদারের মরমি কলমের উপন্যাস আয়না ভেঙে গেলে ।
লেখক সম্পর্কে
সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০-এ। শিক্ষা: স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স, পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ! লেখালেখি! প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। তারপর নাটক লিখতে গিয়ে গল্প লেখা। প্রথম
গল্প “দেশ’ পত্রিকায়, ১৯৬৭ সালে। প্রথম উপন্যাস “দৌড়”, ১৯৭৫-এ “দেশ’ পত্রিকায়। গ্রন্থ: দৌড়, এই আমি রেণু, উত্তরাধিকার, বন্দীনিবাস, বড় পাপ হে, উজান গঙ্গা, বাসভূমি, কালবেলা, কালপুরুষ এবং আর অনেক। সম্মান: ১৯৮২ সালের আনন্দ পুরস্কার তার যোগ্যতার স্বীকৃতি। এ ছাড়া “দৌড়’ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার হিসাবে বি এফ জে এ, দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে ‘কালবেলা; উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।