ইফ টুমরো কামস - সিডনি শেলডন (If Tomorrow Comes By Sidney Sheldon)

ইফ টুমরো কামস – সিডনি শেলডন (If Tomorrow Comes By Sidney Sheldon)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

গল্প শুরুর আগে

ট্রেসি এক সুন্দরী রমণী।

অনেক বছর কেটে গেছে তার রুদ্ধ কারার অন্তরালে । যৌন-বুভুক্ষু সমকামী মেয়ে কয়েদিদের অত্যাচার নষ্ট করেছে তার গর্ভের ভ্রুণ।

জননী হবার স্বপ্ন সফল হয়নি৷ কিন্তু কী তার অপরাধ? কুখ্যাত মাফিয়া চক্রের শিকার হতে হয়েছিল তাকে । ভালোবেসেছিল সে অভিজাত পরিবারের প্রেমিক চার্লসকে। বিপদের সময়ে চার্লস মুখ ফিরিয়ে থেকেছে। অস্বীকার করেছে প্রেমের ফসল অবৈধ সন্তানের পিতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত ট্রেসি একদিন শপথ নিল-একবার মুক্তি পেলে পৃথিবীর
সকলের বিরুদ্ধে শুরু করবে তার শেষ না হওয়া লড়াই। যাদের জন্য তার যৌবন প্রহর এভাবে কেটে গেল অন্ধকার বিবরে, তাদের কাউকে সে ছাড়বে না।

একে একে সকলকে পাঠাবে মৃত্যুর সেই নরকে যেখান থেকে কেউ আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারে না।

কিন্তু কী ভাবে?

সমকালের অন্যতম জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের দুরন্ত লেখনীতে সমৃদ্ধ এক অসহায়া রমণীর
প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার-হাড় হিম করা কাহিনী ।

১.

নিউ অর্লিয়েন্স। বৃহস্পতিবার, ২০শে ফেব্রুয়ারি। রাত এগারোটা ।

আমাদের গল্প এবার শুরু হবে, পটভূমি প্রস্তুত, আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রীমতী ডরিস হুইটনিকে। এই একটু আগে উনি একে একে ওনার সব পোশাক খুলে ফেলেছেন। টকটকে লাল রঙের একটা রাত পোশাকে থরথর করে কাঁপছে ওনার স্পর্ধিত যৌবন।

চোখ বুলিয়ে দিলেন চারপাশে । সর্বত্র পরিশীলিত হাতের ছাপ। গত তিরিশটা বছর এই চার দেওয়ালের মধ্যেই কেটে গেছে শ্রীমতী ডরিস হুইটনির। তিরিশ বছর? তার মানে? তিরিশটি বসন্ত ।

খাটের পাশে রাখা ছোট্ট টেবিলের ড্রয়ারটি খুললেন। সাবধানে বের করলেন একটি রিভলবার । সমস্ত অঙ্গে তার মৃত্যুর হিম-শীতলতা।

রিভলবারটা রাখলেন টেলিফোনের পাশে। ফিলাডেলফিয়ার টেলিফোন নম্বরটা দেখে নিলেন। ডায়াল করলেন। অনেক দূর থেকে কার কণ্ঠস্বর শোনা গেল। ইথার তরঙ্গে ভাসতে ভাসতে কে কথা বলছে-হ্যালো ৷

-ট্রেসি, কিছুক্ষণের নীরবতা, তোর গলার স্বরটা শুনতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল।

-খুব চমকে উঠেছিলাম। জানো মা, এই মুহূর্তে তোমার কথাই ভাবছিলাম ।

আমি কি তোকে ঘুম থেকে জাগালাম?

-না, পড়ছিলাম। এবার শুতে যাব। চার্লস আর আমি ডিনার খেতে বাইরে যাচ্ছিলাম । হঠাৎ বরফবৃষ্টি। ওখানকার আবহাওয়া কেমন?

ডরিস হুইটনি মনে মনে বললেন, হায় ভগবান, আমরা এখন এসব অপ্রাসঙ্গিক গল্প করছি? ওকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর বলতে হবে। কিন্তু বলতে পারছি কই?

-মা, ফোন ছাড়া নিতো?

জানলা দিয়ে বাইরের আকাশের দিকে চকিতে তাকালেন ডরিস। বৃষ্টি পড়ছে। তারপর ভাবলেন হিচককের লেখা কাহিনীর মতো অতি নাটকীয় একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রহস্য রোমান্সের সব কটি উপাদান থরে থরে সাজানো আছে।

-কীসের শব্দ হল মা? টেলিফোনের ওপাশে কার উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর।

-বাজ পড়ল ।

ডরিস আর কোনো কথা বলতে পারছেন না। কেবলই মনে হচ্ছে তারও মনের আকাশেই এখন এমনই বিদ্যুৎ চমকের ঘনঘটা ।

-বাজ পড়ল, ইচ্ছে করে কথাটাকে আবার বললেন উনি, জানতে চাইলেন, ফিলাডেলফিয়ার কথা বল।

সত্যি করে বলব মা? নিজেকে মনে হচ্ছে রূপকথার এক রানি। কাল রাতে চার্লসের মা, বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।

কিছুক্ষণের নীরবতা । তারপর হঠাৎ কলকলিয়ে ওঠে মেয়ের কণ্ঠস্বর ।

-বুঝতেই পারছো, কাল কী আলোচনা হবে আমাদের, তুমিতো জানো না মা, কী বিরাট প্রতিষ্ঠান ওদের । সেই তুলনায় আমি তো অতি নগণ্য ।

মেয়ের কথা শেষ না হতে মা বললেন-ও নিয়ে চিন্তা করিস না, ওরা সকলে তোকে, ভালোবাসে ।

চার্লস তো বলেছে, এ নিয়ে বেশী ভাবনা চিন্তা না করতে। ও আমাকে জীবন দিয়ে ভালোবাসে । আমার কী ইচ্ছে করছে জানো? ইচ্ছে করছে এখুনি তোমার সাথে চার্লসের আলাপ করিয়ে দিই। প্রথম আলাপেই তুমি বুঝতে পারবে, চার্লস অন্য পাঁচটা ছেলের থেকে একেবারে আলাদা ।

-তোর কথা শুনে আমি তাই বিশ্বাস করছি।

ডরিস ভাবলেন, চার্লসের সঙ্গে এ জীবনে আর তার দেখা হবে না। নাতি-নাতনি নিয়ে ভর-ভরন্ত সংসারের কত্রী হওয়ার স্বপ্ন চিরদিনের মতো নিভে গেছে। কিন্তু নিজের কথা ভেবে লাভ কী?

-কেমন আছিস বল?

সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top