Kaalbela-2 by Samaresh Majumdar

কালবেলা – ২ – সমরেশ মজুমদার (Kaalbela-2 by Samaresh Majumdar)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

ভরদুপুরে নিজের ছায়া দেখা খায় না। ছায়া যখন দীর্ঘতর হয় তখন তার আদল দেখে কায়াকে অনুমান করাও সহজ কাজ নয় | এই সেদিন যেসব ঘটনা ঘটে গেল এ দেশে তাই নিয়ে কিছু লিখতে বসার সময় হয়েছে কি না এ সংশয় থাকতেই পারে । সমসামধিক কিছু নিয়ে লেখার মুশকিল হল আমাদের দেখাটা অন্ধের হস্তিদর্শন হয়ে যায় । তবু উত্তরাধিকার’-এর পর “কালবেলা’ লিখতে বসে আমাকে এই সময়টাকেই বাছতে হয়েছে। আমি যেভাবে দেখতে চেয়েছি তার সঙ্গে অনেকেরই মতে মিলবে না, মিলতে পারে দা । ওই সময়টাকে আমি ঘনিষ্ঠভাবে জানতাম এই দাবি করি না কিনভু আঁচ গায়ে না লাগুক মনে লেগেছিল । “দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক লেখার সময় আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে এসেছি, কেউ কাউকে স্বীকার করতে চায় না। অতএব, আমার বিশ্বাসটাই আমার কাছে কানা!

‘কালাবেলা’ কি রাজনৈতিক উপন্যাস ? আমি জানি না। কারণ এ ধরনের সাইনবোর্ডে আমি বিশ্বাসী নই । আমরা এক দারুণ অবিশ্বাসের কালে বেঁচে আছি । কেউ ঘদি বিশ্বাস করে ভুল করেন তবে তিনি কিন্তু আমাদের থেকে প্রাণবন্ত । অনিমেধরা যদি ভুলটা বুঝতে পেরে সঠিক পথটাকে খুঁজে পায় তা হলে কিনু ভুলটা সুল্যবান হয়ে খাবে ।

কিন্তু ‘কালবেলা’ ভালবাসার উপন্যাস | দেশ, মানুষ এবং লিজেকে | কারণ নিজেকে যে ভালবাসতে পারে না সে কাউকে গ্রহণ করতে পারে বা।

উপন্যাসটি লেখার সময় আমি অনেক গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছি। পৃথকভাবে উল্লেখ না করুলেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশ পর্রিকার অজগর পাঠক-পাঠিকা যেভাবে আমাকে উৎসাহিত করেছেন ভিত পুশ | উপন্যাসটি প্রকাশ করার ব্যাপারে শ্রীযুক্ত সাগরময় ঘোষ যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা একমাত্র তাঁকেই মানায় । আমার বন্ধু কল্যাণ সর্বাধিকারী প্রতিনিয়ত যে উপদেশ দিয়ে গেছেন তা ম্মরণ খ্যকবে ।

শেষ কথা, এই উপন্যাসে সময়টাকেই ধরতে চেয়েছি, কোনও মানুষ কিংবা ঘটনার সরাপরি ছবি ভুলতে চাইনি ।

লেখক সম্পর্কে

সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০-এ। শিক্ষা: স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স, পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ! লেখালেখি! প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। তারপর নাটক লিখতে গিয়ে গল্প লেখা। প্রথম
গল্প “দেশ’ পত্রিকায়, ১৯৬৭ সালে। প্রথম উপন্যাস “দৌড়”, ১৯৭৫-এ “দেশ’ পত্রিকায়। গ্রন্থ: দৌড়, এই আমি রেণু, উত্তরাধিকার, বন্দীনিবাস, বড় পাপ হে, উজান গঙ্গা, বাসভূমি, কালবেলা, কালপুরুষ এবং আর অনেক। সম্মান: ১৯৮২ সালের আনন্দ পুরস্কার তার যোগ্যতার স্বীকৃতি। এ ছাড়া “দৌড়’ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার হিসাবে বি এফ জে এ, দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে ‘কালবেলা; উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top