একটু চোখ বুলিয়ে নিন
গল্প শুরুর আগে
কাউলুন, মে, ১৯৪৯-মনে হবে এটা বুঝি একটা অ্যাকসিডেন্ট। তুমি তার ব্যবস্থা করতে পারবে কী?
কথাগুলো অপমানের মতো বিধছে। লোকটা বুঝতে পারল, তাকে রাগিয়ে দেবার জন্য ইচ্ছে করেই কথাগুলো বলা হচ্ছে। রাস্তার যে-কোনো অ্যামেচারের কাছে এই প্রশ্ন করলে সেটা মানানসই হত। সে উত্তর দিতে চাইল হাসতে হাসতে, নিজের ওপর অগাধ আস্থা আছে আমার। আমি এটা ব্যবস্থা করতে পারব। আপনি কী চাইছেন? অ্যাকসিডেন্টটা ঘরের মধ্যে হোক? আমি কি মেয়েটিকে সিড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেব? নাক ভেঙে দেব তার? সে এখন মারসেইলসে আছে। নাকি তাকে বেশি মদ খাইয়ে মাতালিনী করে দেব। বাথটবে ডুবে মরবে সে। অবশ্য হেরোইনের ওভারডোজ দেওয়া যেতে পারে অথবা মুখে জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়বে । কেউ তার মৃত্যুর কারণ জানতে পারবে না। নাকি আপনি চাইছেন, খেলাটা বাইরে হোক? ট্রাফিক অ্যাকসিডেন্ট, বিমান দুর্ঘটনা, সমুদ্রে জাহাজ ডুবে যাওয়া-কোনটা আপনার পছন্দ?
এসবই সে বলতে পারত, কিন্তু বলেনি। তার কারণ হল, উল্টোদিকে বসে থাকা লোকটিকে সে ভয় পায়। ওই লোকটি সম্পর্কে সে অনেক হাড় হিমকরা গল্পকথা শুনেছে। গল্পগুলো বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সে বলল-হ্যাঁ স্যার, আমি দুর্ঘটনার ব্যবস্থা করতে পারি। এবং কেউ সেই রহস্যটা উদঘাটন করতে পারবে না।
কথাগুলো বলে সে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করল কিছুক্ষণ
১৮৪০ সালে একদল চিনা ব্রিটিশ আক্রমণকারীদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাবার জন্য এই বাড়িটা তৈরি করেছিল। এই বাড়িটার অবস্থিতি কাউলুন নামে একটি প্রাচীর আচ্ছাদিত শহরের মধ্যে। এই বাড়ির তিনতলাতে চলেছে কথোপকথন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেওয়ালগুলো দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাইরে আর-এক সারি দেওয়াল আছে। কোনো অচেনা আগন্তক চট করে এখানে ঢুকতে পারে না। এখানে কারা ঘোরাঘুরি করে? দৃবৃত্তের দল, যারা মদ খায়, ধর্ষক এবং ড্রাগ আসক্তরা। চারপাশে সরু অলিন্দ, অন্ধকার সিড়ি। বিষন্নতার ছাপ। ট্যুরিস্টদের সাবধান করে দেওয়া হয়। পুলিশরাও টু টাউ সিন স্ট্রিটের এই অন্ধকার গলতার ভেতর প্রবেশের ছাড়পত্র পায় না। শহরের উপকণ্ঠে এ এক আশ্চর্য গোলকধাঁধা! জানালায় গেলে শহরের দৃশ্যপট পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায়। নানা ভাষার কিচিরমিচির শুনতে পাওয়া যায়। এরা সবাই ওই প্রাচীর আচ্ছাদিত শহরের বাসিন্দা।
শেষ অব্দি উনি বললেন ঠিক আছে। তোমাকে আমি বিশ্বাস করছি, কোনটা সহজ পদ্ধতি এবং নিরাপদ-তোমাকেই তা ঠিক করতে হবে।
-স্যার, যাকে সরিয়ে দিতে হবে, সে কি কাউলুনে আছে?
লন্ডনে । তার নাম ক্যাথেরিন, ক্যাথেরিন আলেকজান্ডার ।
একটি লিমুজিন, পেছনে পেছনে আর একটি গাড়ি আছে, দুজন সশন্ত্র বডিগার্ড। মানুষটিকে লাস্টকার ওয়েডর হাউসে নিয়ে গেল। জায়গাটা সিম সাঁ সুই অঞ্চলে। বু হাউস খুলে দেওয়া হয় বিশেষ কিছু মানুষের জন্য । রাষ্ট্রপ্রধানরা মাঝে মধ্যে এদেশে ভ্রমণ করতে আসেন। আসেন চলচ্চিত্র জগতের মহানায়কেরা, করপোরেশনের প্রেসিডেন্টরা । প্রশাসক তাদের সেবা করতে পেরে গৌরব এবং আনন্দবোধ করে। ছ বছর আগে একটি তরুণী মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে যায়। সে একজন সংবাদপত্র প্রতিনিধির সাথে তার খদ্দের সম্পর্কে আলোচনা করেছিল। পরদিন সকালে আ্যাবারডিন
বন্দরে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। কে বা কারা রহস্যজনকভাবে মেয়েটিকে দু টুকরো করে ফেলেছে। কথায় বলে ৪ হাউসে সবকিছু পাওয়া যায়। অস্পর্শিত কুমারী কন্যা, পুরুষ, সমকামী, তারা মানুষ এবং মনুষ্যতর জীবদের সন্তুষ্টি দিতে পারে । এখানে দশম শতাব্দীর কিছু বিশেষ খেলা এখনও চলে। তার নাম ইশিনপো। ব্লু হাউসকে নিষিদ্ধ
উত্তেজনার স্বর্গ বলা যেতে পারে৷
লোকটি এক জোড়া যমজ কন্যাকে ডাক দিলেন । আহা, স্বর্গের দুই রুপসী বুঝি। তাদের অসামান্য লাবণ্যবতী শরীরের সুষমা দেখার মতো। কোনো ব্যাপারে ছুতমার্গ নেই। গতবার যখন উনি ৪ হাউসে এসেছিলেন, যে আরাম আর সন্তুষ্টি পেয়েছিলেন। এবার কি তা ছাড়িয়ে যাবে? বাথটবে সুগন্ধিত ঈষদুষ্ণ জল। টাইল ভিজে গেছে। তিনি আনন্দ পেলেন উখিত হবার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত । তারপর…
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।
Thanks
Welcome Brother!