Mississippir Teere by Abul Asad-27

মিসিসিপির তীরে – আবুল আসাদ (Mississippir Teere by Abul Asad)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

‘বল তোকে ওয়াশিংটন ছাড়তে বলা হয়েছে, আমেরিকার ছাড়তে বলা হয়েছিল, ছাড়িসনি কেন?’ কথাগুলো বলতে বলতে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে দৈত্যাকার একজন লোক ঘুষি ছুড়ে মারল সান ওয়াকারের মুখে
মেঝের উপর ছিটকে পড়ে গেল সান ওয়াকারের দেহ। ঠোঁটে ফেটে ঝর ঝর করে রক্ত বেরুল।
কপালটাও তার থেঁতলে যাওয়া। মনে হয়। ভোতা জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। মেঝের উপর দের ফুট লম্বা একটা ব্যাট পড়ে আছে। ওটারও আঘাত হতে পারে।
লোকটা আঘাত করে গিয়ে চেয়ারে বসল। দৈত্যাকার বপু এ লোকটার নাম গ্রিংগো। সে হোয়াইট ঈগলের ওয়াশিংটন হেড অফিসে টর্চার ইউনিটের সবচেয়ে কার্যকর হাত।
তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে খুনি আকৃতির ষন্ডা মার্কা আরো দু’জন লোক।
ঘুষি খেয়ে পড়ে যাবার পর ধীরে ধীরে উঠে বসল সান ওয়াকার। বলল, ‘কিন্তু আমি ওয়াশিংটন ছাড়ব কেন, আমিরিকা ছাড়ব কেন? আমার দোষ কি?
‘দোষ কি আবার জিজ্ঞেস কা হচ্ছে! ন্যাকা, যেন কিছুই বোঝে না’।
বলে গ্রিংগো একটু থামল। শুরু করল আবার, ‘তুই মেরী রোজকে বিপদগামী করেছিস। তোর কারণেই মেরী রোজ আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।’
‘মিথ্যে কথা। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবার বয়স রোজ-এর হয়েছে। এবং সে বুদ্ধি তার আছে।’ কপাল থেকে চোখের উপর দিয়ে গড়িয়ে আসা রক্ত মুছতে মুছতে সান ওয়াকার বলল।
‘এসব কেতাবী কথা রাখ। সব আমরা বুঝি। ‘বলতে বলতে উঠে দাঁড়িয়ে সান ওয়াকারের পাঁজরে একটা সজোরে লাথি কষে আবার গ্রিংগো মুখ বাকিয়ে বলল, ‘আহা! প্রেম করেছে। ব্লাডি ব্লাক হয়ে শ্বেতাংগিনী রোজ-এর দিকে হাত বাড়াবার মাজা এবার পাইয়ে দেব।’
সান ওয়াকার কিছুই বললনা। সে জানে এসব প্রলাপ, হিংসার অস্ত্র। জবাব দেবার কিছু নেই।
কিন্তু সান ওয়াকারেরর নীরবতা গ্রিংগোকে ক্ষেপিয়ে তুলল। বলল সে গর্জে ওঠে, ‘বল হারামজাদা ওয়াশিংটন এবং আমেরিকা ছাড়ছিস কিনা!’
আমি এমন কিছু করিনি যে আমাকে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ও নিজের দেশ ছাড়তে হবে।’ বলল সান ওয়াকার শান্ত ও দৃঢ় কণ্ঠে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top