একটু চোখ বুলিয়ে নিন
হযরত খালিদ (রা.)-এর মুজাহিদ বাহিনী দামেক্ক পানে ছুটে চলছিল।
রোমীয় সালার আযাযীর দামেস্ক পৌছেই শহর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত
করার কার্যক্রম শুরু করে। দামেক্ক শহর-প্রাচীরের ৬টি দরজা ছিল। প্রত্যেক
দরজার নাম ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আযাবীর দামেক্ককে অবরোধ হতে রক্ষার এই
ব্যবস্থা গ্রহণ করে যে, বেশির ভাগ সৈন্য শহরের বাইরে রাখে । যাতে মুসলিম
বাহিনী শহর পর্যন্ত পৌছতেই না পারে। তারা তাদেরকে শহরের বাইরেই খতম
করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে । শহরে মাত্র নির্বাচিত একটি বাহিনী রাখা
হয়েছিল। সেখানে একটি বিশেষ বাহিনীও ছিল, যাদেরকে “জানবায বাহিনী’
বলা হত। তারা ছিল অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও শক্তিধর। যে কোনো পরিস্থিতি
মোকাবিলায় তারা ছিল সম্পূর্ণ সক্ষম এবং দক্ষ। বিশেষ প্রশিক্ষণে তাদের
প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছিল।
সোয়া মাইল দৈর্ঘ্য এবং ৮৮০ বা ১১০০ গজ প্রস্থের দামেস্ক শহরের
আবাদীতে এই সংবাদে বিরাট হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল যে, মুসলিম বাহিনী শহর
অবরোধ করতে ছুটে আসছে। এই সংবাদের পূর্বেই মুসলমান বাহিনী এসে
শহরে পৌছে গিয়েছিল । সালার শহরবাসীদেরকেও শহর প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুত
করছিল। কিন্তু শহুরে লোকজন তাদের সহায়তা করছিল না। তারা নিজেদের
ধন-সম্পদ আর যুবতী কন্যাদের লুকাতে সর্বাত্রক তৎপর ছিল। কোনো কোনো
পরিবার ও অভিভাবক তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে
যাবার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেনারা তাদের প্রচেষ্টায় বাধ সাধছিল। তারা
কাউকে শহর ত্যাগ করতে দেয় না।
মুজাহিদ বাহিনী দামেস্ক শহরের কাছাকাছি চলে এসেছিল প্রায়। ইতোপূর্বে
যেসব গোয়েন্দাদের দামেক্ষে পাঠানো হয়েছিল, তারা পর্যায়ক্রমে মুসলিম
বাহিনীর কাছে ফিরে এসে সংগৃহীত তথ্য ও রিপোর্ট পৌছে দিয়ে আবার গন্তব্যে
চলে যাচ্ছিল। চলমান মুজাহিদদের জযবা ছিল তুঙ্গে । দেশ, বাড়ি, স্ত্রী, সম্তান-
এ সবের কোনো খেয়াল তাদের এ মুহূর্তে ছিল না। তারা এক আল্লাহর নামের
জিকির করতে করতে পথ অতিক্রম করছিল। মাঝে মধ্যে রণ-সঙ্গীতেও সুর
তুলে গাইছিল। তারা তাদের সার্বিক সম্পর্ক আল্লাহর সঙ্গে এবং রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিল। তারা
তাদের জান আল্লাহর জন্য কুরবান করে রেখেছিল । রোমীয়দের জন্য ছিল শুধু