অচেনা বন্দর – মাসুদ রানা – কাজী আনোয়ার হোসেন (Ochena Bondor – Masud Rana By Kazi Anwar Hossain)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

রাহুল পিতা য়ারকটিপটায় দাপটের সে রাজতাকরহেপি
নিকষ কালো রাত। তার মধ্যে এখানে-সেখানে জটলা করছে কিছু
(লোক আকাশের গায়ে তাদের কাঠামো ফুটে আছে।

নিচু স্বরে কথা বলছে সবাই। আলোচনার বিষয় যদিও গোপন কিছু নয়।
তবু পরিবেশে টান টান উত্তেজনা। খানিক পর পর সিগারেটে চুমুক দিচেছ তারা,
টকটকে লাল আগুন জুলে উঠছে এখানে-সেখানে। দু’-এক মুহূর্তের জন্য,
তারপরই আবার স্তিমিত হয়ে আসছে।

িঝিসহ নানান নিশি-পতঙ্গের চড়া কোরাসের শব্দে সরগরম হয়ে আছে
গোটা এলাকা । কান ঝালাপালা হওয়ার দশা।

মেঘ একেবারে নীচে নেমে এসেছে আজ রাতে। স্ট্রিপের পাশের ইরোকো
গাছগুলোর মাথা ছুই ছুই করছে। প্রতীক্ষারত লোকগুলো মনে মনে প্রার্থনা
করছে: আরও কিছুক্ষণ যেন ওভাবেই থাকে মেঘ । শিকারী কুকুরের মতো হন্যে
হয়ে আকাশ চষে বেড়ানো মিগ সেভেনটিনগুলো যেন তাদের অবস্থান শনাক্ত
করার সুযোগ না পায়।

ল্যাপ্ডি লাইটের সাহায্যে মিনিটখানেক আগে এখানে নেমেছে একটা ঝন্কর
মার্কা সুপার কনস্টিলেশন। ফাইনাল আ্যাপ্রোচের একেবারে শেষ মুহূর্তে
বেশি হলে পনেরো সেকেত্ডের জন্য জুলে উঠেছিল স্ট্রিপের লাইটগুলো- মু
পাইলট যাতে বেয়ারিং পায়।

ওটার ক্যাপ্টেন অভিজ্ঞ মানুষ । মিশরীয় পাইলট । তার জন্য পনেরো
সেকেণ্ডের পথের দিশাই যথেষ্ট ছিল। তাই সামনের চাকা মাটি ছোয়ার সঙ্গে
সঙ্গেই নিভিয়ে ফেলা হয়েছে যা লাইট

এ মুহূর্তে দৌড়ের শেষ পর্যায়ে রয়েছে সুপার কনস্টিলেশন। অসমান

স্ট্িপের ওপর দিয়ে ঝাকি খেতে খেতে অন্ধের মতো ছুটে আসছে পাতার ছাউনি
দেয়া কাচা ঘরগুলোর দিকে । পুরনো এগ্রিনগুলো পর পর কাশছে খুক
খুক করে।

দু’-তিনটে মিগ সেভেনটিনের কান ফ’টানো শব্দে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল
জ্টলাগুলোর মধ্যে। কিন্তু না। ভয় পাওয়ার মতো কিছু ঘটল না শেষ পর্যন্ত।
নীচে আলোর আভাস পর্যন্ত নেই দেখে হরোকো. গাছগুলোর মাথা ছুঁয়ে ভেসে
চলা মেঘের পর্দাটার ওপর দিয়ে গোঙাতে গোঙাতে পশ্চিমে চলে গেল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top