একটু চোখ বুলিয়ে নিন
১
কর্ডলেস টেলিফোন থেকে মুখ তুলে ফ্রান্সিস বাইক পিয়েরে পলের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘পি. এ. সাহেব বলেছেন চীফ জাষ্টিস এভাবে কথা বলেন না।’
‘বলবে না মানে? টেলিফোনটা আমাকে দিন।’ বলে টেলিফোন নেয়ার জন্যে হাত বাড়াল পিয়েরে পল। টেলিফোন মুখের কাছে এনেই বলল, ‘পি. এ. সাহেব?’
‘জি বলুন, বলছি আমি।’ বলল টেলিফোনের ওপ্রান্ত থেকে পি. এ.।
‘আপনাকে বলতে ভুলে গেছে, চীফ জাষ্টিসের সাথে ডঃ ডিফরজিস কথা বলবেন।’
‘কোন ডঃ ডিফরজিস? প্যারিসের?’
‘ঠিক। চীফ জাষ্টিস সাহেবের শিক্ষক।’
‘সব জানি। স্যরি স্যার। ওনাকে বলছি একটু ধরুন।’
পিয়েরে পল টেলিফোন থেকে মুখ একটু সরিয়ে ডঃ ডিফরজিসের দিকে চেয়ে বলল, ‘ডঃ গো ধরে থাকলে কোন লাভ হবে না। চীফ জাষ্টিসকে বলুন আমাদের সহযোগিতা করতে।’
বলেই মুখ টেলিফোনের কাছে নিয়ে বলল, ‘মাই লর্ড ডক্টর সাহেবকে দিচ্ছি।’ বলে পিয়েরে পল টেলিফোন ডঃ ডিফরজিসের হাতে তুলে দিল।
‘হ্যালো, উসাম কেমন আছ?’
‘ভালো। কিন্তু আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। আমি আকাশ থেকে পড়েছি। না জানিয়ে আপনি ক্যামেরুন এসেছেন। বাসায় না এসে টেলিফোন করছেন। আপনি কোথায়? আমি আসব।’
‘আমি আসিনি, আমাকে আনা হয়েছে। আমি কোথায় আমি জানিনা।’
‘কি বলছেন আপনি? এটা বিশ্বাস করা যায়?’
‘যা চোখের সামনে উপস্থিত। তা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন ওঠে না উসাম। আমাকে ওরা কিডন্যাপ করে এনেছে ক্যামেরুনে।’
‘কিডন্যাপ?’
ওপারের কথা শেষ হয়নি বুঝা যায়। কিন্তু কোন কথা ওপার থেকে শোনা গেল না। বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে নিতে নিশ্চয় সময় লাগছে চীফ জাষ্টিসের।
আবার শোনা গেল ওপারের কণ্ঠ, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছি না জনাব। কি ঘটেছে বলুন।’
‘আমাকে কারা যেন কিডন্যাপ করে এনেছে।’
‘কেন?’
‘আমাকে পণবন্দী করেছে ওরা।’
‘পণবন্দী? কিসের জন্যে?’
‘তোমার কাছ থেকে একটা কাজ চায় ওরা।’
‘আমার কাছে? কিন্তু আপনাকে পণবন্দী করে কেন?’
‘কাজটা বেআইনি। আমাকে ওরা বলেছিল তোমাকে বলে কাজটা করিয়ে দিতে। রাজী না হওয়ায় কিডন্যাপ করেছে। আমাকে পণবন্দী করে কাজটা বাগিয়ে নিতে চায়। তাদের ধারণা আমার জীবন বাঁচাবার জন্যে তুমি কাজটা তাদের করে দেবে।’
‘কাজটা কি?’ ওপারে চীফ জাষ্টিসের কণ্ঠ বড় শুকনো শুনাল।
‘কাজের কথা আমি তোমাকে বলব না এবং কোন অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার তুমি কর, এটা আমি চাইব না।’