একটু চোখ বুলিয়ে নিন
এক
মদিনা থেকে সহযোগী বাহিনী এখনও আসেনি । সিপাহসালার আমর ইবনে
আস (রাযি.) দূতমারফত আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর (রাষি.)কে যুদ্ধের
অবস্থা এবং পরিবর্তিত প্রতিটি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করতে
থাকেন । তার বেশ কজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দ্রন্তগামী কঠিনপ্রাণ দূত ছিল ।
মানচিত্রে মিশর ও মদিনার দূরত্ব দেখুন । অনেক পথ । সেযুগে ঘোড়ার পিঠে
বসে এই দূরত্ব এক মাসে পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল, নাকি আরও বেশি সময়ের
প্রয়োজন হতো নিশ্চিত করে বলা মুশকিল । কিন্তু একজন দ্রুতগামী দূত অল্প
কদিনেই এই পথ অতিক্রম করে ফেলত । এই পথ অতিক্রম করতে হতো সেসব
নিয়েছিলেন । দূতরা সড়ক পথে লোহিত সাগরের কিনারে-কিনারে মদিনায়
আসা-যাওয়া করছিল । পুরো পথে চৌকি বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোতে
অতিশয় তাজাদম ঘোড়া প্রস্তুত থাকত । দৃতরা ক্রাস্ত ঘোড়াগুলোকে চৌকিতে
রেখে নতুন ঘোড়া নিয়ে সফর অব্যাহত রাখত | কোথাও-কোথাও পানাহার বা
একটুখানি জিরোনোর জন্য বিরতি নিত । কিস্ত কি দিন, কি রাত; তারা ঘোড়ার
পিঠে বসে একনাগাড়ে পথ চলত | এভাবে সংবাদ ও বার্তা আদান-প্রদানের
ব্যবস্থাপনাকে সত্যিকার অর্থেই বিদ্যুর্গতিসম্পন্ন বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ।
সক
আমর ইবনে আস (োযি.)-এর দূত দিনকতক পর-পরই মদিনা পৌছে যেত
এবং আমীরুল মুমিনীনকে মিশরের সর্বশেষ পরিস্থিতির সংবাদ পৌছাত ।
ইতিহাস বলছে, আমর ইবনে আস (রাযি.) প্রতিটি বার্তায়-ই জরুরি সাহায্যের
কথা লিখতেন । কিন্তু কখনও কোনো বার্তায়-ই তিনি লিখেননি, যদি সাহায্য না
পাই, তাহলে আমি অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে বাধ্য হব এবং এই সামরিক অভিযান
থমকে যাবে । তার প্রতিটি বার্তা-ই উৎসাহব্যগ্রক হতো, যেন তার কোনো প্রকার
সমস্যা বা কোনো ধরনের হতাশা নেই ।
কিন্তু তার অর্থ কখনোই এ নয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর রাযি.) এ