আবুল আসাদ রচিত সাইমুম সিরিজ বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপন্যাস সিরিজ। এ জাতীয় অন্যান্য সিরিজের মতো নয়, সাইমুম কেবল তার পাঠককেই শিহরিত করে তা নয় বিভিন্ন তথ্যবহুল এবং শিক্ষামূলক জিনিসও সরবরাহ করে। লেখক আবুল আসাদ ১৯৭৬ সালে অপারেশন তেলআবিব বইয়ের মাধ্যমে এর সিরিজের যাত্রা শুরু হয়।
Title | সাইমুম সিরিজ ৪ : পামিরের আর্তনাদ |
Author | আবুল আসাদ |
Publisher | বাংলা সাহিত্য পরিষদ |
ISBN | 9844850202 |
Edition | 7th Edition, 2012 |
Number of Pages | 139 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
একটা জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে’। নূর আবদুল্লাহর দৃষ্টি সামনে নিবদ্ধ। তার কণ্ঠে
উদ্বেগ।
নূর আবদুল্লাহ মোটর বোটের গতি ডেড স্লোকরে দিয়েছে। সামনের
জমাট অন্ধকারটি একদম সামনে এসে গেছে। আহমদ মুসা সেটা ভালো করে
নিরীক্ষণ করে বললেন, বোটের মুখ উপকূলের দিকে ঘুরিয়ে নাও আবদুল্লাহ।
কামানের পাশে দাঁড়ানো আবু ও সেলিমকে বললেন, দু’টো কামানের মুখই দক্ষিণ
দিকে ঘুরিয়ে রাখ এবং তৈরী থাক।
নূর আবদুল্লাহ নিমেষে বোটের মুখ উপকূলের দিকে ঘুরিয়ে নিলো। কিন্তু
সংগে সংগেই সামনের সেই জমাট অন্ধকারের বুক থেকে আলোর বন্যা ছুটে এল।
তীব্র সার্চ লাইটের আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল চারিদিক। আহমদ মুসা আলোর
উৎসের দিকে একবার চেয়েই নিদের্শ দিলেন-‘ফায়ার’।
আবু ও সেলিমের কামান দু’টো গর্জন করে উঠল। প্রবল এক ঝাঁকুনি
দিয়ে উঠল বোট। নির্ভুল নিশানা । অন্ধকারের সেই কাল জীবটির রক্তচক্ষু উড়ে
গেল। আবার আঁধারে ঢেকে গেল চারদিক। কিন্তু সংগে সংগে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর
এই তিন দিক থেকে জ্বলে উঠল আরও তিনটি সার্চ লাইট। সেই সাথে ডেক
মাইকে এক বিরাট গলা শোনা গেল, “পালাবার পথ নেই মিঃ মুসা, চারদিক থেকে
চারটা জাহাজ ঘিরে ফেলেছে। আত্মসমর্পণ করলে খুশী হব।”
আহমদ যুসা মুখ ঘুরিয়ে একবার চারটি জাহাজেরই অবস্থান দেখে
নিলেন। দক্ষিণ এবং পূর্বে দাঁড়ানো জাহাজ দু’টির ফাঁক দিয়ে কাল জমাট অন্ধকার
দেখা যাচ্ছে। ওটা উপকূল। আহমদ মুসার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠল এক টুকরো
হাসি। তারপর হামাগুড়ি দিয়ে স্টিয়ারিং ছইলের দিকে এগুতে এগুতে বললেন,
নূর আবদুল্লাহ, তুমি একটু সরে বসো।
নূর আবদুল্লাহ পাশের সিটে সরে গেল। আহমদ মুসা স্টিয়ারিং হুইল ধরে
বসলেন সিটে। সিটে জুতসইভাবে বসতে গিয়ে মাথাটা আবার ঠোকা লাগল
চেয়ারের সাথে। যন্ত্রণায় মাথাটা টনটন করে উঠল। দীতে দাঁতি চেপে যন্ত্রণাটা
হজম করলেন তিনি। তারপর পকেট থেকে ডিম্বাকৃতি একটি জিনিস বের করে
হাতে নিলেন। বাঁ হাতে ধরা স্টিয়ারিংহুইল। বোটের ইঞ্জিন বন্ধ ছিল। চাবি ঘুরিয়ে