একটু চোখ বুলিয়ে নিন
একটি বড় কক্ষ । কক্ষের ভিতরে দু’টি প্রদীপ জ্বলছে । তেরো চৌদ্দজন
তরুণী ও দশ বারোজন যুবতী সেখানে বসা । এক যুবতী তার শিশুকে দুধ পান
করাচ্ছে। দু’জন সুঠামদেহী পুরুষ আবু রায়হানকে সেই কক্ষে নিয়ে গেল।
সেখানে ছিল এক বৃদ্ধ ।
“দেখ এদের। এরা আমাদের বোন, মেয়ে। এরা হলো মুব্রিদারর
বসবাসকারী আরবদের কন্যা, জায়া। এদের সবার বাপ, ভাই, স্বামী যারা
গেছে। আমাদের কয়েকটি মেয়ে বেঈমানেরা অপহরণ করেছিল, বহু কষ্টে
আমরা ওদের জালেমদের কাছ থেকে উদ্ধার করে এখানে এনে লুকিরে
রেখেছি।”
“কার অপরাধে আজ আমাদেরকে এই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে বলো তো
সৈনিক ভাই!” ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল বৃদ্ধ। এখানে কাফেররা বিদ্রোহের প্রস্তুতি
নিচ্ছে। ইবনে আব্দুল জব্বার শত্রু সেজে দুশমনে পরিণত হয়েছে । তবুও কেন্ছব
থেকে এখানে সৈন্য পাঠানো হলো না। মুরিদার গভর্নর এখানকার পরিস্থিতি
বুঝার কোন চেষ্টাই করেনি ।”
“এটা তর্ক-বিতর্কের সময় নয় জনাব । আমার মনে হয় বাইরের পরিস্থিতি
সম্পর্কে আপনি মোটেও অবগত নন।”
“হ্যা, বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের কোন খবর নেই।” বলল এক
লোক। কারণ আমরা বাইরে বের হই না। এই মেয়েগুলো আমাদের জন্যে
বিরাট সমস্যা হয়ে দীড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে এদের ইজ্জত রক্ষার তাগিদে কীট-
পতঙ্গের মতো জীবন যাপন করছি আমরা । আমরা মান-সম্মান নিয়ে এখান
থেকে বেরিয়ে যেতে চাই ।
“আমি তো এতক্ষণ একাকী বেরিয়ে যাওয়ার চিস্তা করছিলাম । এইসব
বোন এখন আমার বোন। এদের ইজ্জত রক্ষা করা আমারও কর্তব্য । ঠিক আছে
যে কোন মূল্যে আমি তোমাদের সাথে আছি, থাকব । তবে বাইরের পরিস্থিতি
নিজেকে মুরিদার আমীর ঘোষণা করেছে। সকল খিিস্টান্ তার প্রাতি আনুগভ্য