একটু চোখ বুলিয়ে নিন
বোয়িং ৭২৭
নান্দীমুখ : এ হল এক অসামান্যা সুন্দরী রমণী এবং তার তিন পুরুষ প্রেমিকের রহস্য রোমাঞ্চে ভরা গল্প। মেয়েটির নাম লারা ক্যামেরন। নিন্দুকেরা বলে থাকে, শুধু রূপের মহিমা দিয়ে সে যে কোনো চতুর পুরুষের মন ভোলাতে পারে।
জীবনে চলার পথে তিন তিনজন পুরুষের ঘনিষ্ট সংস্পর্শে সে আসে।
তার প্রথম প্রেমিকের নাম সিন ম্যাক অ্যালিস্টার। এরপর পল মার্টিন, সবশেষে ফিলিপ অ্যাডলার।
তিন পুরুষ স্ব-ক্ষেত্রে সম্রাট হয়ে বিচরণ করেছে এই পৃথিবীর বুকে । এদের নিয়ে ভালোবাসার আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়েছে বেচারী লারাকে।
শেষপর্যন্ত প্রেম কি নিঃশব্দ চরণে এসেছিল তার জীবনে? আরও একজন পুরুষ গোপনে ভালোবেসেছিল লারাকে। অথচ কি অবাক, মনের এই ভাবনার কথা মুখের ভাষায় প্রকাশ করেনি সে কখনও।
কে সেই চতুর্থ পুরুষ? সে হল হাওয়ার্ড কেলার।
তারপর? তার আর পর নেই-আছে এক মহান থ্রিলার লেখকের অসাধারণ শব্দলহরী । আসুন চোখ বন্ধ করে আমরা এই চক্রবুহে প্রবেশ করি, যেখানে ঢুকলে বেরিয়ে আসার পথ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রথম পর্ব । প্রথম অধ্যায় ।
১০ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ১৯৯২, রাত ৮টা।
বোয়িং ৭২৭ হারিয়ে গেছে পুঞ্জপুঞ্জ মেঘের আড়ালে । রূপালী পালক বুঝি ভেসে চলেছে মহাশূন্যের মধ্যে দিয়ে। পাইলটের ভয়ার্ত কণ্ঠস্বর ভেসে এল মিস ক্যামেরন, আপনার সিটবেল্ট ঠিকমতো বাঁধা আছে তো?
মিস ক্যামেরন এতক্ষণ স্বপ্নের জগতে বিচরণ করছিলেন । হঠাৎ সেই স্বপ্নটা তার ভেঙ্গে গেল। তিনি জানতে চাইলেন কি হয়েছে?
মন হারিয়ে গেছে কোথায় কেউ জানে না। এত সুখময় মুহূর্ত বোধহয় এর আগে আসেনি তার জীবনে ।
লাউড স্পীকারে কণ্ঠস্বর শোনা গেল মিস ক্যামেরন, আমরা ঝড়ের মুখে পড়েছি, আপনি ঠিক আছেন তো?
আচ্ছন্নের মতো জবাব দিলেন মিস ক্যামেরন-ভয় নেই, আপনাকে অযথা চিন্তা করতে হবে না মিঃ পাইলট, আমি ভালো আছি।
ঝড়? তার মানে? প্লেনটা কি হঠাৎ ভেঙে পড়বে নাকি? ভাবতে কিছু আর ভালো লাগছে না মিস ক্যামেরনের । একটা সিদ্ধান্তে আসতেই হবে।
অতীতের বছরগুলো এত দ্রুত কেটে গেছে, মনে হয় চলচ্চিত্রের এক একটি দৃশ্যপট। এমন কিছু ঘটনা যা ওর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। শেষপর্যন্ত বিরাট ঝুঁকির সামনে দাঁড়াতে হয়েছে । বিপদের মোকাবিলা করতে হয়েছে একা একা । তারপর?
হঠাৎ ককপিটের দরজাটা খুলে গেল। পাইলট ঢুকে পড়ল কেবিনের মধ্যে। তাকাল লারার মুখের দিকে । আঃ, ভদ্রমহিলা এত সুন্দরী? উজ্জ্বল কালো চুল নেমে গেছে কাঁধের দুপাশে । চোখ দুটিতে বুদ্ধির তীক্ষতা জ্বলজ্বল করছে। রেনো থেকে প্লেন ছাড়ার আগে ওই ভদ্রমহিলা একবার পোশাক বদলেছিলেন। এখন তার শরীরে সাদা রঙের গাউন,
গলাতে হীরে আর চুনীর নেকলেস।
বিপদের প্রাক মুহূর্তে উনি এমন শান্ত আছেন কি করে? গত কয়েক মাস ধরে ওকে নানাধরনের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। খবরের কাগজওয়ালারা লারার গভীর গোপন জীবনের দিকে বিষ তীর ছুঁড়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও উনি একইরকম নির্বিকার চিত্তে সব প্রতিকূল অবস্থা সামলে নিয়েছেন।
মিস ক্যামেরন পাইলটকে বললেন-ফোনটা ঠিকঠাক কাজ করছে তো?
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।