একটু চোখ বুলিয়ে নিন
গল্প শুরুর আগে
কমান্ডার রবার্ট বেলামি মার্কিন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে পাঠানো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে একটি আবহাওয়া বেলুন ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ছিল। বেলামির দায়িত্ব হল দশজন প্রত্যক্ষদর্শীকে খুঁজে বের করা, তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, তারা যাতে সব বিবরণ
গোপনীয়তার মধ্যে জানাতে পারে, তা দেখা।
এই অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেলামির একটা অদ্ভূত অনুভূতি হল। শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারলেন যে, তাকেও চক্রান্তের শিকার হতে হচ্ছে। একটা অনিয়ন্ত্রিত শক্তি তার ওপর কঠিন কঠোর নজর রেখেছে। এই বেলুন ধ্বংস হওয়াটা মারাত্মক ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ, যে ষড়যন্ত্রটা অবিশ্বাস্য এবং ভয়ঙ্কর ।
ওয়াশিংটন থেকে জুরিখ, রোম থেকে প্যারিস, এই গল্প বেলামির জীবনের অতীতকে প্রকাশ করেছে। যে রমণীকে তিনি ভালোবাসতেন, সেই রমণী কেন ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারেননি? বন্ধুরা কেন তার ভয়ঙ্কর শক্রুতে পরিণত হয়েছেন? শুধু তাই নয়, সুইজারল্যান্ডের আল্পস পাহাড় চূড়ায় সত্যি সত্যি কী ঘটনা ঘটেছিল, বেচারী রবার্ট বেলামি তা কোনোদিন জানতেই পারবেন না।
জীবন কাটাও উত্তেজনাকর মুহূর্তের মধ্যে একটি প্রাচীন চিনা প্রবাদ।
অবতরণিকা
উটেনডরফ সুইজারল্যান্ড, রোববার, ১৪ই অক্টোবর, তিনটে বেজে পঞ্চাশ মিনিট । এখানে বিরাজ করছে ভয়ঙ্কর নীরবতা । কথা বলা যাচ্ছে না। দুঃস্বপ্নের আভাস। প্রত্যেক প্রত্যক্ষদর্শীর মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া একজন অজ্ঞান হয়ে গেছে, একজন বমি করছে, এক ভদ্রমহিলা কাঁপছে । অন্য একজন ভাবছে, আমার বোধহয় হার্ট আাটাক হবে । বয়স্ক ধর্মযাজক মালা জপছেন। বুকে ক্রুশ চিহ্ন আঁকছেন। পিতা-পিতা, আমাকে রক্ষা করুন। সকলকে রক্ষা করুন। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার হাত থেকে । আমরা শেষ পর্যন্ত শয়তানকে দেখতে পেয়েছি। পৃথিবীর শেষের সেদিন ঘনিয়ে এসেছে। বিচারের দিন।
আমরা সেডন এভানে, রোরবার, ১৪ অক্টোবর, রাত নটা।
একটা খবর এসেছে, অত্যন্ত গোপনীয়। এন এস থেকে পাঠানো হয়েছে কমসেকের
ডেপুটি ডাইরেক্টরের কাছে। কী বিষয়ে? অপারেশন ডুমস ডে।
রোববার, অক্টোবর ১৪, নটা বেজে পনেরো মিনিট । একটা ফ্ল্যাশ মেসেজ, বলা হয়েছে চরম গোপনীয়। এন এস-র কাছ কাছ থেকে ডেপুটি ডিরেক্টর। লেখা আছে নেভাল ইনটেলিজেস, ১৭ ডিস্ট্রিক্ট, বিষয় কমান্ডার রবার্ট বেলামি ।
এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
সংবাদটা শেষ হয়ে গেছে।
প্রথম পর্ব
শিকার
০১,
সোমবার, ১৫ই অক্টোবর
হাসপাতালটা লোকে পরিপূর্ণ। ভিয়েতনাম । সুশান বিছানাতে ঝুঁকেছেন। ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে । সাদা নার্সের পোশাক । বলছেন- ঘুম ভাঙুক নাবিক, আমি আপনাকে মরতে দেব না।
সুশানের কণ্ঠস্বর, নাবিক যন্ত্রণা ভুলে গেছেন। টেলিফোনের শব্দ। রবার্ট বেলামি জেগে উঠেছেন। ঘুমটা ভাঙাতে চাইছেন না। সকাল চারটে । টেলিফোন ধরছেন- এখন কি ডাকার সময়?
-কমান্ডার বেলামি?
পুরুষ কণ্ঠ।
হ্যাঁ।
আপনার জন্য একটা জরুরি খবর আছে। আপনি এক্ষুনি ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির হেড কোয়াটারে চলে যান। জেনারেল হিলিয়াড আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। ঠিক ছটার সময়।
কমান্ডার রিসিভার নামিয়ে রাখলেন। অবাক হলেন। কী ব্যাপার কিছুই বুঝতে পারছেন না।
সুশান আগের সন্ধ্যাবেলা ফোন করেছিলেন রবার্ট?
সুশানের কণ্ঠস্বর- হ্যালো সুশান।
তুমি ভালো আছে তো, রবার্ট?
দারুণ আছি।
তারপর? এখন বেলামিকে তৈরি হতেই হবে। সময় দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, সুশানের কথা মনে পড়ছে কেন?
তিনি বিছানা থেকে উঠলেন। লিভিংরুমের দিকে চলে গেলেন। খালি পায়ে। সুশান নেই, কেমন অগোছালো পরিবেশ। সুশানের ছবি চারদিকে ছড়ানো আছে। স্মৃতির অনুবর্তন- ……
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।