The Lernean Hydra by Agatha Christie

দ্য লার্নিয়েন হাইড্রা – আগাথা ক্রিস্টি (The Lernean Hydra By Agatha Christie)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

ক্রিস্টির সৃষ্টি পোয়ারো

একালের, না একালের বলছি কেন, সর্বকালের এবং সারা বিশ্বের বললেও বোধহয়
ভুল নয়, গোয়েন্দা সাহিতোল সম্রাজী ব্রিটিশ লেখিকা আগাখা ক্রিস্টি। আর তার সৃষ্ট চারটি
গোয়েন্দা চরিত্রের মধ্যে সব থেকে বেশী বুদ্ধিমান এবং জনপ্রিয় হলো এরকুল পোয়ারো।
এবং দূরদর্শিতার ভান্ডার কখনো কানায় কানায় ভরা, আবার কখনো বা উপচে পড়তে দেখা
যায়। কিদ্ত কখনোই তার তীক্ষু বুদ্ধি একেবারে তলানিতে পড়ে যেতে দেখিনি তাঁর কোন
গল্প কিংবা উপন্যাসে । বেলজিয়ান শেষেন্দা এরকুল পোয়ারোব সুশ্্ বৃদ্ধি যেন তার পুরু
গৌঁফের আড়ালে লুকানো থাকতো; তবু তারই মাঝে তার সেই সব বুদ্ধির কোষগুলি
বিকশিত হতে দেখতে পাই ক্রিষ্টির লেখনীব মাধ্যমে, যেমন দেখতে পাই “ দ্য মার্ডার অফ
রজার আকরয়েড ” উপন্যাসে । এই উপন্যাসে আততায়ী কে শেষ পৃষ্ঠার আগে অনুমান
করা অতি তীকুবুদ্ধি সম্পন্ন পাঠক-পাঠিকাদের পক্ষেও বোঝা কঠিন। এই উপন্যাসে যেমন
আগাথা ক্রিস্টির রহস্যময় লেখনী এবং গল্পে র আটো বাঁধুনী, তেমনি তার গোয়েন্দা এরকুল
পোয়ারোর সুল্ম্ম চুলচেরা বিষ্লেষণ। এরকুল নিজে কখনো ভুল করেও পাঠক-পাঠিকাদের
সাতে দেয়নি, এখানে গোয়েন্দাই খুনী। ঝানু গোয়েন্দা বলেই একজন গোয়েন্দা যখন

“ই খুনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তখন সে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফলে জেনে যায়,
কিভাবে অপরাধ করলে পুলিশের সাধ্য নেই যে, তার কেশাগ্রও স্পর্শ করে। অপরাধীদের
সাধারণত যে সব দুর্বলতা থাকে, সেগুলো প্রত্যেক খুনী-গোয়েন্দা নিজের থেকে শুধরে
নেয় নিজের বেলায়। এটাও কি কম কৃতিত্ত গোয়েন্দাদের ক্ষেত্রে ।
» এই সংকলন শুধু এরকুল পোয়ারোর তদন্ত কাহিনী। এখানে “ পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস”
“এ বাছাই করা গল্প ও উপন্যাসের সমষ্টি ঘটানো হয়েছে। প্রতিটি লেখা ও রেখায় আগাথা
ঞ্রিস্টির সৃজনশীলতা, গল্পে গুঢ় রহস্যের জাল বোনা এবং পরে এরকুল পোয়ারোর সুক্ষ
বিচারবৃদ্ধি দিয়ে একে একে রহস্যের জাল-বুনন শিথিল করে দেওয়া, একাজ একমাত্র এরকুল
পোয়ারোর দ্বারাই সম্ভব। অনা কোন গোয়েন্দাদের পক্ষে তো নয়ই। এক কথায় বলা যায়
যেখানেই খুনী সেখানেই এরকুল পোয়ারো, তৃতীয় কোন পক্ষের প্রবেশাধিকার নেই সেখানে।
এখানে “সেকেন্ড গঙ” এবং “দি ভেড ম্যানস মিরর” গল্প দুটির বিষয়বস্ত্র এক ধরণের
হলেও স্থান ও চরিত্র ভিন্ন বলেই এই সংকলনে গল্প দুটি সংযোজিত হলো। একই ধরণের
কাহিনী ভিঃ। উপস্থাপনার দরুণ যে সমান উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে, ক্রিপ্টির সেই সাফল্য
তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারোর নিখুত বিশ্লেষণ প্রতিটি
পাঠক-পাঠিকাকে তৃপ্তি দেবে এবং এই সংকলনের প্রতিটি গোয়েন্দা গল্প-উপন্যাস সুনির্বাচিত
বলে বিবেচিত হবে।

লেখক সম্পর্কে

বিখ্যাত ব্রিটিশ উপন্যাসিক ড্যাম আগাথা মেরি ক্লারিসা
ত্রিস্টি “আগাথা ক্রিস্টি” নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
মেরি ওয়েস্টম্যাক্ট ছন্দনামেও লিখেছেন তিনি ।
আগাথা ক্রিস্টির জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে।
রহস্য উপন্যাসের অন্যতম গুরুতৃপূর্ণ ও উদ্ভাবনী
লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে । স্যার
আর্থার কোনান ডয়েলের পরেই তার অবস্থান। “দ্য
কুইন অফ ক্রাইম” নামেও তিনি পরিচিত ।
সর্বমোট ৬৬টি রহস্য উপন্যাস লিখেছেন তিনি। এর
পাশাপাশি লিখেছেন ১৪টির মতো ছোটোগল্ল ও
রোম্যান্টিক গল্প । তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো-
মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস, মার্ডার ইন
মেসোপটেমিয়া, হিকোরি ডিকোরি ডক, দ্য এবিসি
মার্ডার, আ্যান্ড দেন দেয়ার ওয়্যার নান প্রভৃতি ।
এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল তার সৃষ্ট বিখ্যাত
দুটো চরিত্র।
ক্রিস্টির অনেকগুলো রহস্য কাহিনি থেকে নির্মিত হয়েছে
চলচ্চিত্র। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ড রেকর্ডস এর
তথ্যানুসারে আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক
বিক্রীত বইয়ের লেখক। তার সমকক্ষে একমাত্র
উইলিয়াম শেকসপিয়ারই অবস্থান করছেন । ইউনেস্কোর
বিবৃতি অনুসারে তিনিই একমাত্র লেখক যার রচনা
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভাষায় অনুদিত হয়েছে। এ পর্যন্ত
সর্বমোট ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার বই।
১৯৭৬ খ্রিস্টানদের ১২ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের
অক্সফোর্ডশায়ারের উইন্টার্ককে ৮৬ বছর বয়সে
মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁকে সমাহিত করা হয়
অক্সফোর্ডশায়ারের সেন্ট মেরি চার্চে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top